Similar Posts
জিয়া হকের পাঁচটি কবিতা
ক. বোধগম্য নও, তবু হেসে ওঠা ধর্ম আমারমেরুদাঁড়া ভেঙে যায় রোজ রাত্রিবেলামানুষের ভাষা যেন বুঝতে পারি নাকাউকে পাই না বলে ঈশ্বরাদি ডাকিঈশ্বরকে ডাকি বলে কাউকে পাই নাক্ষমাশীল তিনি—এমনই শুনেছিমায়েদের চেয়ে মাতৃময়মাতৃময়ী না লিখে তাকে আমি পুরুষে রাখলাম‘করুণা করুণা’ বলে ডাকি সেই উঁচু নীরবতাআমার কথারা ঘোরে মনের জঙ্গলে আমারপশুমাংস চাই না আর চাই একটা গাভীর শাবকবিশ্বাস…
এসো রাহুল (ইরাকী আবদার) – শাল্যদানী
# ভালোবাসা এতদিনে দুতরফায় নীল হলো। কার্পেটে ক্যানভাসে না পাঠানো চিঠি, আসলে কবিতা। অতঃপর কবি নোবেল পেলেন। # খুব আনন্দের অন্দরমহল আজ, প্রুফশিটের ভীতি উধাও। জমিয়ে প্রেম মজলিশি মেজাজ। কবির অন্তঃপটে রাহুল… # কবিতা আজ কথাকলি এক্সরে করা মহাতপা পেন, সুষুম্না ধরে নেমে আসা লাইন। কবির পর্নোগ্রাফি কবিতা হলো। # ইতি নর্মাল প্রেমিক… পেনের মতো…
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় -এর দশটি কবিতা
নিরাপদ মাননীয় মানব সমাজ ‘I smell dark police in the trees’. দীর্ঘ দেবদারু বীথি আজ কোনো আকাশ দেখে নাএখন আকাশ জুড়ে নষ্ট চাঁদ, শুরু হবে পিশাচের নাচ; এখন বাতাস দগ্ধ দুধকলা দিয়ে পোষা সাপের নিঃশ্বাসে… ভাল আছে—নিরাপদ—আমাদের মাননীয় মানব সমাজ॥ [রাস্তায় যে হেঁটে যায় / প্রথম প্রকাশ: ১৩৭৯] কবিতা পরিষদের ‘বইমেলায়’ আমরা সবাই চাঁদের আলোয়…
রামকৃষ্ণ মাহাতো-র পাঁচটি কবিতা
ঝুমৈরা সংসারটা ছোটো নয় , দু-দুটো পেট আছেসেই পেটের ভরণ-পোষণ আছেআছে ভাদ্রের দুপুর; সেই দুপুরে চলে চৈত বৈশেখের বাড়তি গাঁজন,ঝুমৈর গাঁজন। মাঝে মাঝে মুখ চেয়ে ঝুমৈর শুনে নতুন বৌ ঝুমৈর হাঁকাই গা ভিজে, মন ভিজেভাদরের চাল ভিজে নাই। মোরগ লড়াই দুটো মোরগ। দু-জন রসিক।মৃত্যু মৃত্যু খেলা;আখড়ার ভিতর জুড়ে বীর রক্তের তিলক, এই বীর রক্ত সূর্যাস্তে…
মধু রাঘবেন্দ্র-র পাঁচটি কবিতা – অনুবাদ : শুক্লা সিংহ
মূল ইংরেজি থেকে অনূদিত [মধু রাঘবেন্দ্র কবি, সমাজকর্মী, আর্ট ইভেন্ট কিউরেটর এবং ভারতবর্ষে কাব্য-চর্চার অন্যতম বৃহৎ উদ্যোগ ‘Poetry Couture’-র প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তাঁর কাব্য আন্দোলনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সহ ভারতের অন্যান্য শহরে কবিতা-পাঠের মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘Make Me Some Love to Eat’ পাঠক মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত। তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘Stick No Bills’ মুম্বই সাহিত্য…
জীবাশ্ম – কল্পরুপ পাল
পৃথিবী চাটছে একটা ধূষর রোদ সকালের কৃষ্ণচূড়া ঝলসে মৃতপ্রায় কফিন জিরিয়ে নেয় ঘাসের ছায়ায়; ঘাসেরা বড়ই নির্বোধ! ধারাল মাঞ্জা,উড়ন্ত ঘুড়ি ছাদ নয়,আকাশ হবে ছিনতাই, হিটলারেরা নাড়াচ্ছে লাটাই তাই ধফ্ করে থেমে গেল তোমার তুবড়ি। ঝকঝকে প্রাসাদ,বিজয় উল্লাস ম্যাহেফিলে জীবন ষোলোআনা, শুধু প্রাসাদই জানে তার ইতিহাস পায়রাগুলো যে আর বসে না!

