অরিত্র শীলের পাঁচটি কবিতা
শিথিল পেশির মেধাস্বত্ব
এইমাত্র
মৃত শ্রমিকের পিঠে, নামুক বৃষ্টি মাঠ
নিঃশ্বাসে নেই অনুতপ্ত ক্রেন
নিঃশ্বাসে নেই তলপেটের ঘ্রাণ
বৃষ্টির জল ছুঁয়েছে কীর্তিহাট
পেশিতে পেশিতে ইঁটের তাগাড় নুনমাখা ক্যাম্পখাট
ডানাছিঁড়ে
মরা মাসে একা একা
পাখিদের চেয়েও উঁচু দিয়ে উড়ে
বাতাসে দিয়েছে ছ্যাঁকা
শূন্যের সব দুঃখকীর্তি ভরে
বটের শিকড় এলেবেলে গেছে মরে
চাতকের ঠোঁট, ঠোঁটের খিঁচুনি, উনুনের গায়ে স্যাঁকা
নরম ঘাসের
যেতে বসেছিল স্তম্ভবিন্দু ধাঁচা
উঠে বসেছিল রাতের গতর পিপে
ঝরে পড়েছিল সন্ধ্যার গলাটিপে
মজুরের ছিল ধুলোপথ ঝাড়াবাছা
মিথ্যে জমেছে হলুদ উঠোনে রক্তাভ লাউমাচা
কান্না পেলে
জখম শ্রমের কান্না-পর্ব নেই
করাতের গ্রীবা বেলচার ঘনফলা
মজুরির মাথা ছুঁয়ে গেছে শ্মশানেই
শরীরের সব বিনিময় দিয়ে লেখা
শরীরের সব বিনিময় দিয়ে বলা
চাকারা হাঁটছে মৃতদের জন্যেই
কান্না নামুক
টিপছাপ লিখি অর্ধভুক্ত রাতের
কাক ভেজা শিশু
খসড়া লেখার খাটে
হত্যার চেয়েও জঘন্য ময়লাটে
বিপর্যস্ত গাছেদের কাছাকাছি
মুখের চাদর সরিয়ে দেখছি কাঁচি
ধ্রুপদী পাঁজর প্রতিদিন মরে দোমড়াতে দোমড়াতে