রাখী দে’র গুচ্ছ কবিতা : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১.
প্রতিক্রিয়াহীন কথাগুলিকে
সাজিয়ে রাখি পার্শ্বরেখা বরাবর,
ঘোলা জল এসে ঝাপটা দেয়,
দুলকি চালে পাশ কাটিয়ে যাই,
জন্ম শেষে না-নেভা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি।
২.
বুকে খই উথলে উঠলে
আঁচটুকু কমিয়ে দিই,
ফেনার শরীর ঘেঁটে জড়ো করি
পাখিটি নীরব জলে সাঁতার কাটে!
৩.
ক্ষতটি জেগে আছে,
পাড়ময় ফুটে আছে সন্ধির ফুল,
একেকটি ফুল তুলে নৈবেদ্য সাজাই
চিকণ রোমের মুখ তুলে ধরি,
তুমি কথা বলে ওঠো।
৪.
যেদিকে বিকেল হাঁটে,
সেদিকে পড়ে আছে লম্বা ঘুম
বারান্দায়…
ধুলো মাখা রং নিয়ে উড়ে গেছে
একপাক্ষিক চিল,
আমি শুধু ডানার বিবরণ খুঁজি।
৫.
গাঢ় পলাশের মতো ফুটে আছে চাঁদের শরীর,
সমস্ত কথার ইতিবৃত্ত শেষে মাটিতে পা রাখি
মাটি ফুঁড়ে হু হু করে বেরোয় জল,
জল কাদা মেখে পাহাড় গড়ি, উপত্যকা,
পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ি খাদে,
নতুন জন্মশেষে দেখি
অর্ধদগ্ধ গাছের শরীরে দাঁড়িয়ে আছি।