ছদ্ম বৈপ্লবিক – অহিন্দ্রিলা মুখার্জ্জী

শেয়ার করুন

চতুর্দিকে চাপ চাপ রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে
মিত্রপক্ষ নাম দিয়েছে
“বিপ্লবের রক্ত”!
আর শত্রুপক্ষরা নানা নামে অলংকৃত
করে চলেছে।
বুদ্ধিজীবীরা স্ক্রিপ্ট হাতে তৈরী
ক্যামেরার সামনে বসতে।
প্রশ্ন করলাম তাকে “আমাকে একটু বুঝিয়ে
দেবেন, একটি দুবছরের কোমল শরীরের রক্ত
বিপ্লবকে ঠিক কতখানি সাফল্য মন্ডিত
করবে??”
অথবা ওই রাস্তার মোড়ের চা এর দোকানের দিদিমার রক্ত
কতটা এগিয়ে দেবে বিপ্লব কে???
স্ক্রিপ্ট হাতরে উত্তর খুঁজছেন??
পাবেননা।
আসলে প্রতিদিন হৃদয়ের কুঠুরিতে
আমরা হিটলার স্তালিন দের পুষি।
তাদের কর্মগুলো নীতি কে লালন পালন
করি।
আর বিপ্লবের নানা মোড়কে মুড়ে পথে
পথে ফেরি করি।
আমরা প্রত্যেকেই রক্তের ওই নোনা স্বাদের মাঝে
বিপ্লব খুঁজি
তা সে আসুক বা নাই আসুক

শেয়ার করুন

Similar Posts

  • যদি – সন্দীপ ভট্টাচার্য

        প্রথম ফোঁটার সিঁদুরে মেঘ ঘর পোড়া অন্তগহীনে বাদুলে ময়ূরাক্ষী নীরব ঝর্নার গান পাহাড় কি মনে রাখে? যদি রাখে তবে বুঁদের মূল্য অন্তহীন প্রেমজ সফরে জলজ সাদা ফুলের গন্ধ কবিতা কবরে নিকোটিন গন্ধে হরিবোল যদি ঠোঁটের প্রথম ঘাম মিশে যায় ফুলশয্যায় তবে সে বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক আপাত নিরীহ রাত্রে নীল বেদনা চিনচিনে ব্যাথা শিরদাঁড়া শর্তহীন…

  • ঘোলাটে মায়া – আকাশ সাহা

    ঘষা কাচে গুমোট অন্ধকারের মাঝে, মুখ রাখি পড়ন্ত বেলায় আমার নির্ভেজাল হৃদয়ের শার্সিতে কখনও বা হাত রাখি জানালার শিকলে , কখন আবার ঘোলাটে জীবনের প্রেমহীন অনুকম্পায় হেটে চলি একমুঠো ঝড়ের আশায় জানি আমি, জানালার ওপারে, ঘোলাটে ঘষা কাচের ওপ্রান্তে পৃথিবীর আর একটা রূপ ওপর হাতে আমার জন্য, সন্ত্রাস,হানাহানি,বিস্বাসঘাতকতা.অরাজনৈতিকতা প্রেমহীন মানবত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে. তার আলোকরাশিতে,…

  • সীতা হেমব্রমের পাঁচটি কবিতা

    আখা জ্বলছে, কয়লার বিরাম নেই লেখা আসার আগে, সন্তানজন্ম ফিরে আসে। স্বপ্ন তখন স্বরবর্ণে আসত, ফিরে যেত ভ্রূণ বিষাক্তকরে। মনে হত, মরা বাচ্চা বিয়োব আমি; নীল হয়ে যাওয়া, রক্তনাড়ী জড়ানো গলায় সে মাকেনা বলেই হয়ত ফিরে যাবে সম্পূর্ণ জীর্ণ । দলা পাকানো জরায়ু তছনছ করে গোটা বাড়িটাই ভেঙে পড়ল, সলতে পাকানোএক ফোঁটা জলও নিল না…

  • কাহিনি একটি শরণার্থীশিবির – অরিত্র সান্যাল

    একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? মনোভঙ্গির মতো শীর্ণ একটা গাছ,  হৃদয়ের মতো অপূর্ব এক যতি, আর বহুক্ষণ নিয়ে ভূমিষ্ট হচ্ছে দুঃখের জগত। একটা সাদা কালো সুর শোনা যাচ্ছে কি? আমি দেখেছি, প্রতিটা দুঃখের তিনটি করে মা থাকে। একটি সেই কুকুর, ছোটোবেলার গল্প থেকে  অনেকদূর তাড়া খেয়ে যে আজ রাত্রি অব্দি দিগন্তের পরিধি বাড়িয়ে…

  • |

    আয়না – শৈলেন রায়

    দেউতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমের আয়না। আশ্চর্য, আয়নাটা এখনও আছে! আধ মানুষ সমান সেই আয়নাটা। আমরা বলতাম হেড স্যারের আয়না। হেড স্যারের ঠিক পিছনে একটু উঁচু করে টাঙানো ছিল দেওয়ালে। চার ধার সেগুন কাঠে  বাঁধানো, ম্যাড়মেড়ে পালিশ। ওখানে আয়না কেন, কোথা থেকে এল জানি না। জানার ইচ্ছেও হয়নি কোনও দিন। স্যরের ঘরের চেয়ার-টেবিল-আলমারির মতো আয়নাটাও…

  • |

    বসন্ত – তৈমুর খান

    বসন্ত দেখতে এলাম। তোদের আবার বসন্ত! চারপাশে হাড়ের স্তূপ। ঝাঁক ঝাঁক কাক উড়ছে। চিৎকার করছে ভিখিরিরা। কারও পরনে কাপড় নেই। হৃদয়ে হৃদয় পুড়ে ছাই হাতে হাতে সভ্যতার থালা … এসে আর ফিরে যাবার রাস্তা নেই দুর্ভিক্ষে টেনে ধরছে হাত পা— রাস্তার ধারে স্বপ্নদের বাড়ি একবার সেখান থেকে আগুন চেয়ে আনি চলো কেমন আছে ওরা দেখি…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *