ছায়ার বিস্তৃতি – সৈয়দ কওসর জামাল

ছায়ার বিস্তৃতি – সৈয়দ কওসর জামাল

মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘৃণা, নেত্ররোষ অপলক, স্থির আর্ত দিন, ক্লিষ্ট রাত, আমাকে দণ্ডিত ভেবে করেছিল ভিড় টলোমলো এই ভূমে, আসলে তো সাক্ষী আমি – উন্মত্ত দম্ভের এই হত্যা-হত্যা খেলা, কষ্ট পাই, যেন গান – ব্যাহত সুরের, গুমরে গুমরে ঘোরে বিক্ষুব্ধ বাতাসে, তবুও যুদ্ধের কথা কান পেতে শোনে কেউ, রোমাঞ্চ খুঁজেছে কেউ, জানেনা – ব্যর্থতা প্রতিটি…

উত্তরে উদ্বুদ্ধ – মন্দাক্রান্তা সেন

উত্তরে উদ্বুদ্ধ – মন্দাক্রান্তা সেন

যুদ্ধবিরোধী কাব্য লিখব যুদ্ধের ময়দানে হে বন্ধু তুমি ভুল বুঝো না গো এই কবিতার মানে যে যুদ্ধ শুধু হিংস্রতা বোঝে তারই চরম বিরুদ্ধে আমরা আজকে রুখে দাঁড়িয়েছি যুদ্ধ-বিরোধী যুদ্ধে আমাদের হাতে অস্ত্র না, আছে উদ্ধত লাল পতাকা বুঝিয়ে বলো তো আজ আমাদের প্রাণের মূল্য ক’টাকা যুদ্ধবাজরা হিসেব বোঝে না ওরা তো গোণে না লাশ ওদের…

অক্ষর লিপি – দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

মৃত্যু বুনছি । ছিঃ । বলার ক্ষমতা নেই । ইতিহাস শিশুর রক্ত পুতুল নিয়ে রাস্তায় ট্রমা । মা বলতে দিচ্ছে না । নারকীয়তা । তাগ করে রেখেছে বন্দুক বন্ধু ত্যাগ করে শত্রু তৈরি । রিভেঞ্জ । জমকালো শব্দ । দন্ত বের করে দানব ছিঁড়ে খেতে তৈরি মানুষ সস্তা প্রতিদিন । দিনান্ত চলে আসে । রক্তবর্ণ…

কৌরব বংশ – অভি গুপ্ত

পৃথিবীর চারদিকে আজও তারা আছে যাদের আঙ্গুলী হেলনে বাকী সব বাঁচে। রাজনীতি নয় শুধু তাদের সৈকতাবাস ধর্ম ও দেয় তাদের কাঙ্খিত বিশ্বাস। রুক্ষতার ধ্বজা ওড়ে প্রান্তিক কামনায়। জীবনের মদিরা আকন্ঠ পান করে অসাম্যতার হার পরে উঠে আসে যারা। বৈধ অসুখী হয়ে যারা অাজন্মকাল ধংসের মাতোয়ারায় মগ্ন হয়ে রয়। সকলেই বাঁচতে চায় আপন মহিমায়। কিছু জন…

অপরাজিত অপু – নূর নাজমুল

গ্রামের নাম গৌরীপুর। গৌরী কন্যার মতই তার রূপ। প্রকৃতি তার রূপের সমস্ত উপচার দিয়ে রূপসী করে তুলেছে গৌরীপুরকে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ,ছুটে চলা নদী,সবুজের ছায়াবীথি তার রূপে যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। জেলা শহরের অদূরের মেঠোপথ ধরে নদী পেরুলেই দু চার  গাঁ পরে গৌরীপুর। গৌরীপুরে একসময় হিন্দু মুসলমান সুখে শান্তিতে বাস করত। কিন্তু দেশ বিভাগের সময়এগাঁয়ের অনেকেই…

এ যুগের দাবী – তুলসীদাস ভট্টাচার্য

আবারও আমরা হাঁটবো মিছিলে এবার আর দুমুঠো ভাতের জন্য নয় । এখন ঘরে ঘরে অন্ত্যোদয়,বি পি এল এখন পাড়ায় পাড়ায় সজলধারা , যুগের সাথে বদলে গেছে দাবীও । রাজনীতির ম্যানিফেস্টোয় মুছে দেবো মোটা হরফের লেখাগুলি ; একটা ধোঁয়াহীন পৃথিবী সবুজ পাতার নীচে জিরিয়ে নেবার একটু অবসর চাই । চাঁদের পাহাড়ে আর খোঁড়াখুঁড়ি নয় এসো,পৃথিবীটাকেই আরও…

বর্তমান, উত্তরের অপেক্ষায় – উজ্জ্বল সামন্ত

না বলা কথাগুলো হয় “কবিতা” নয়তো “গল্প” হয়ে ওঠে একান্ত নিজেরই খেয়ালে.. সম্পাদকের খোজে ,তোমাদের ভালবাসা প্রেরণা  যোগায় আমার “লেখা” জীবন বড় বিচিত্র ,জন সমুদ্রের মেলা খাটি মানুষের বড়ই অভাব সমাজে হিংসা, পরনিন্দা,কুটকাচালি, হানাহানি , দাংগা স্বাথপর ও যান্তত্রিকতা মানুষের মনে নেই সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা মনীশীদের উক্তি  আজ নীতি কথা নেই ভায়ে ভায়ে মিল…

মন কেমনের দিনে – পাগলা গুঁফো
| |

মন কেমনের দিনে – পাগলা গুঁফো

কত কি মনে পড়ে এমন মন কেমনের দিনে। কত কি ?টাপুর টুপুর বৃষ্টি পরে কাঁঠাল পাতায়।  জানলার ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হাতে জলের ছাট। মোবাইলে তোলা সেই বৃষ্টি ভেজা পাতা। এই তো সেই সেদিনের কথা। জানলায় বসে একমনে দেখতাম কাঁঠাল গাছের ভিজে পাতাগুলো। আজ সেই গাছটা নেই জানো। কাটা পড়ে গেছে। আজ বৃষ্টি র ছাটে…

পথপ্রদর্শক – অম্বিকেশ মহাপাত্র
| |

পথপ্রদর্শক – অম্বিকেশ মহাপাত্র

‘হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও’ আজ থেকে প্রায় ২০৮ বছর আগে, ১৮০৯ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল, পরাধীন ভারতের কলকাতা শহরে বসবাসকারী ইংরেজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অনিবার্যকারণে সেই সময় আজকের মত বাড়িতে বাড়িতে দূরদর্শন, হাতে হাতে স্মার্টফোন ছিল না। দূরদর্শন কি বলছি! বৈদ্যুতিক আলো-পাখাও তখন আবিস্কৃত হয়নি। তখন বাঙালীঘরের শিশু-পাঠ্য ‘সহজ পাঠ’ ছিল না। কারণ ‘সহজ পাঠ’র লেখক,…