একুশে ফেব্রুয়ারি – অমিতাভ গুপ্ত
অন্তহারা সৌভাগ্যেবাংলা ভাষা বেঁচে উঠল প্রেমে ও প্রতিবাদে জীবনেরউচ্ছ্বসিত এই উৎস আবার শিলচরে জাগবেহয়তো তার আগে ফাল্গুন ঈষৎ ঝরে যাবে তবুওকৃষ্ণচূড়া জেগে রইবে
অন্তহারা সৌভাগ্যেবাংলা ভাষা বেঁচে উঠল প্রেমে ও প্রতিবাদে জীবনেরউচ্ছ্বসিত এই উৎস আবার শিলচরে জাগবেহয়তো তার আগে ফাল্গুন ঈষৎ ঝরে যাবে তবুওকৃষ্ণচূড়া জেগে রইবে
ভালোবাসা নেই, যে কারণে নেই, খুঁজে পাও যদি তুমি, থাকবে চোখটি বুজে? মধুসূদনের, আর্তি মনে কি পড়ে? বাঙালির মন যে ভাষার ঠোঁটে নড়ে তাকে অবহেলা— রক্ত ঝরছে দেখো— বাংলার মুখ! তুমি তো ভাবছ— তো! অবক্ষয়িতের, ভেসে যাওয়া সেই গতি— পরিচয়হীন, আত্মহত্যা, রতি আর কী বলব— কী আর বলার আছে, মায়ের ভাষার গভীরে আলোটি আছে… সেই…
পথে পথে এত কথার ট্রাফিক জ্যামভদ্রলোকের প্রগলভতা স্তুতিবাক্য শোকসভাআমার ফিরতে দেরি হচ্ছে। মা, তোমার মনে আছে!বাড়ি ফিরবার পথে দক্ষিণের সেই পুরাতন সাঁকো,সাঁকোর নীচে শান্তজল – পূর্বপুরুষেরআজও রয়েছে কী অবিকল! মা, আমার বড্ড ইচ্ছেআজও একবার স্কুল ফাঁকি দেবপথে প্রান্তরে মুক্ত মাঠে সময় বিলিয়ে উদার হস্তে বাড়ি ফিরবআর বাবার কিনে দেয়া সেই প্রথম স্কুল ব্যাগটিতেতোমার জন্য ভরে…
বায়ান্নর ঘুড়িটি আমার ছিল।রক্তঝরা মাটির চিৎকারে জন্মের ফাগুন — সে-ওআমাদেরই ছিল। ভাষা সে আমার মা বেঁধেছে বর্ণের অনুরাগ। ভাষাকে দেখেছি অর্থাৎ আমার মা’কে হেঁটে যেতে দেখেছি গহীন অরণ্যের দিকে। ভাষা আকাশের বুকে কবুতরের পালক হলে উড়িয়ে দিয়েছি মেঘ ও রৌদ্রে।জব্বার ও বরকত সালাম রফিক-এর ক্ষত বুক লাল অক্ষরের রোদ নিয়ে বসে আছে সারাদিন — ওঁরা…
একটি লম্বা লাইনে প্রভাতফেরিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি মধ্যরাতে একুশের অপেক্ষায়— হাতে ফুল — নগ্ন পদ — শাদা পাঞ্জাবির সাথে ঢলঢলে পাজামা একটি দীর্ঘ লাইন এক সুরে গুঞ্জন করছে শীতল বাতাসে রোমকূপে শীতকাঁটা উঠে আছে আমরা অপেক্ষমান সেই বায়ান্নোর ফেব্রুয়ারি থেকে ওরা বলেছিল যাহা বাহান্ন তাহা তেপ্পান্ন আমরা প্রতিবাদ করি আমাদের মাতৃভূমে বায়ান্ন জুড়েই আছে মাথা নত না করার দৃপ্ত স্বরআছে শহিদের রক্তাক্ত শার্টের ’পরে…