প্রতি বছর পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই ঢাকিরা দূরদূরান্ত গ্রাম থেকে শহরে চলে আসে বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে ঢাক বাজানোর বরাত পাবার আশায়। কিন্তু তারও কিছুদিন আগে থেকেই শরতের ভোরে শিউলি গাছের নীচে যেমন একটা একটা করে টুপটুপ করে শিউলি ফুল পড়তে থাকে ঠিক সেইভাবে বিভিন্ন পাবলিকেশন হাউস থেকে প্রকাশিত হতে থাকে একটার পর একটা নানাধরনের পুজোবার্ষিকী।…
মৌলিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বের কথা বইতে আমরা সকলেই পড়েছি। একটা সময় ছিল যখন কীভাবে কম সময়ে কম মেহনতে বেশি উৎপাদন করা যায়, সে নিয়েই বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বকে ব্যবহার করা হত। এখন তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ-সুন্দর করে তোলার পিছনে বিজ্ঞানের অবদান সর্বত্র। সব পরিসরেই যখন বিজ্ঞানের প্রয়োগ হচ্ছে, তখন খেলাধূলার জগৎই বা বাকি থাকে কেন।…
দুয়ারে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। কিন্তু গড়িয়াহাট থেকে জেলার দোকানে সেরকম ভিড় চোখে পড়ছে না। সারা বছর দোকানদাররা অপেক্ষা করে থাকেন আগমনি বার্তার। কিন্তু এবার করোনার মারণ ছোবলে আগমনি বার্তায় কোনো সুখবর নেই। পুজো মরসুমে দোকানদারদের মুখে হাসি উধাও। সারাদিন মাছি তাড়াচ্ছেন। কর্মসংস্থানের আকাল বাজারে করোনার প্রকোপে ব্যবসায়ী, দোকানদারদের বেহাল অবস্থা।…
অধ্যাপক স্বপন চক্রবর্তীর সাথে ব্যক্তিগত আলাপ হয়েছে বার কয়েক মাত্র। জাতীয় গ্রন্থাগারে আমি তখন নিয়মিত। স্বপন চক্রবর্তী ডাইরেক্টর। খড়ের গাদায় ছুঁচ খুঁজতে খুঁজতেইকখনও-সখনও আলাপ আলোচনা। “বেঙ্গল ম্যাগাজিন? বেশ বেশ, দেখো”, এই জাতীয় উৎসাহ-দান। তখনওজানতাম না এর আরও কিছুদিন পর তাঁর কিছু কাজ আমাকে গবেষণার এক নতুন দিশা দেখাবে। জানলে হয়তো আরেকটু ভালো করে আলাপ করে…
স্বপন চক্রবর্তী ছিলেন সেই বিরল প্রজাতির ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক যিনি সম-উৎসাহে পাঠ করতেন বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য। অবশ্য এখন এই ধারাটিকে বিরল বলতে হচ্ছে বটে, কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত এই ধারাটি বিরল ছিল না; বরং ইংরেজির মাস্টারমশাইদের এটা ছিল অতি স্বাভাবিক এক প্রবণতা। বেশি দূরে যেতে হবে না। রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত বা শিশিরকুমার দাশই উদাহরণ হিসেবে…
১.যে-সর্বনামকে বিদায় দেওয়া হইয়াছিল ঘোর কোনও তমসাতীরে, ঘুড়িটি ভাসিতেছে, এতই উঁচুতে, যে কাটিয়া যাওয়া টের পাওয়া যায় না। মেঘ জমিলে চিলেরাও সেইখানে। তাহাদের চোখে নদী সামান্যই দূরে। জলই সম্পর্করেখা। বন্দর বলিলেই কেন বৃষ্টির কথা মনে হয়। তাহার কত লিপ্ততা, ঘাম ও মুদ্রা বিনিময়, তবু পথে পথে ভিজিবার আমন্ত্রণ। রংবেরঙের কাপড় কাচিয়া মেলিয়া দেওয়া হইয়াছে প্রান্তরে।…
পরমাণু তোমাদেরও হারাবার আগেজেনে রাখি, অনিশ্চয়তা প্রকৃত সামান্য বিষয়সংখ্যালঘু বৃষ্টির ভয়ে যেরকম জলাধার হয় মহাকাশ আমাদের বিনয়-যাজকঅশেষের মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শেষ হই রোজই —এই জ্ঞান যুগপৎ ভয় ও ভুলের,যেভাবে দেহাতি ভোরদূরোদয় মোরগের ডাক আদায় করেছে …ও বধির স্কুল নিজের ফাটলগুলি কখন-ই বা আলোয় ধরেছি?বোতাম ঘরের তীরে বাড়ন্ত ববিনের সায়যে আমি তস্য বধির, অচিরেই চেয়ে নিতে…
প্রথম পরকীয়া মেয়েদের গোপন ‘পরকীয়া’ ব্যাপারটা ঠিক কীরকম, তা বুঝে গিয়েছিলাম বেশ শৈশবেই। আর আমার এই ‘অকালপক্কতা’র জন্য যদি কেউ দায়ী থাকেন, তবে তিনি ছিলেন আর কেউ নন।স্বয়ং উত্তমকুমার। তাঁর নামটা বলার সময় মহিলাদের চোখে কেমন ঝিলিক মেরে ওঠে, তা তো দেখতামই, গলার স্বরগুলোই বদলে যেত। কিন্তু তার থেকেও তীব্র দেখেছি, তাদের ছুটে যাওয়া। উত্তমকে…
হল্ট স্টেশন। বাস রাস্তা থেকে নেমে অনেকটা হেঁটে, লাল ধুলো ওড়া কাঁকুরে রাস্তা। সারাদিন ধুলো ওড়ে দু’ধারে বাঁশের বনে। গাঢ় সবুজ বাঁশপাতায় জমে লাল মিহি ধুলোর স্তর। সারারাত হিমে ধুয়ে সকালের আলোয় সদ্যস্নাত, স্নিগ্ধ হয় পাতারা। ডগা গড়িয়ে তখনও ফোঁটা ফোঁটা হিম। আবার বিকেলে ফেরার সময় পাতার গায়ে বসে থাকা মিহি ধুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে…
ছোট্ট পিতলের ধুনুচিটাকে ঘুরিয়ে তাকের ওপরে রাখা। গণেশ আর বিশ্বকর্মার ছবিতে সন্ধ্যাবাতি দিয়ে একটা মশা মারার কয়েল জ্বালিয়ে নিজের টুলের ওপর বসে অজয়। কাটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে টুলের একটা গদি বানিয়ে নিয়েছে সে। টুলে বসে সেলাই মেশিনের প্যাডেলে পা রেখে একটা প্যান্ট রিফু করছিল অজয়। আজ এখনও রিন্টুর পাত্তা নেই। সূর্য ডোবার পর থেকে রিন্টুর…
