মরণলেখ ১ – গৌতম বসু

মরণলেখ ১ – গৌতম বসু

আকাশের কাছে আমাদের সাহায্য প্রার্থনামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিমন, খরোস্বী লিপির চিরশয্যা, মন দাবানলদাবানলের পথে যারা হেঁটেছিদূরের দেশ, নিজেকে তুমি কোথায় ফেলে এসেছো ভাবোভাবো, রক্ষাকবচ ভেসে গেছে কোন কূলে থেকে অকূলেমনের পথে-পথে যারা হেঁটেছিরক্ষাকবচ ভেসে গেছে যাদেরশতাব্দীর মতো একনিষ্ঠ যারাসৃষ্টির মতো, লয়ের মতো একামনের পথে-পথে যারা হেঁটেছি বাতাস এখনো শোকগাথা, শোকগাথার বাতাসে এসে দাঁড়ালাম দেহকার্য এখনো…

এই লভিনু সঙ্গ তব – পার্থপ্রতিম মজুমদার

এই লভিনু সঙ্গ তব – পার্থপ্রতিম মজুমদার

কিছু কিছু মানুষ থাকেন যাদের সান্নিধ্যে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। গৌতমদা ছিলেন সেই বিরল গোত্রের একজন মানুষ। কবে, কীভাবে গৌতমদার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তা আর এখন মনে পড়ে না। কিন্তু প্রথম দর্শনেই মানুষটিকে মনে হয়েছিল এই সেই ‘মনের মানুষ’। খুব বড়ো মনের মানুষ না হলে বড়ো কবি বা বড়ো লেখক হওয়া যায় না—গৌতমদা ছিলেন…

সব কথা ব্যথার: গৌতম বসু – সঙ্ঘমিত্রা হালদার

সব কথা ব্যথার: গৌতম বসু – সঙ্ঘমিত্রা হালদার

এই জগত ও জীবনের যে বিপুল-বিরাট ঐশ্বর্য, চাইতেন তা তাঁর চেতনার অংশ হয়ে উঠুক। ‘আদম’ প্রকাশিত কবিতাসংগ্রহের ভূমিকায় চাতকের মতো ব্যক্ত করেছেন সেই অভিপ্রায়। তিনি কবি গৌতম বসু। কবিতাসংগ্রহের একদম শেষে ‘সংলাপ-১’ অংশে, কুৎস ও অশ্বসেনের কথোপকথনেও ঘুরেফিরে শ্রাবণধারার মতো উচ্চারিত হয় প্রায় এই কথাটাই—“চেতনার আরম্ভ কোথায় আর কোথায়ই বা তার সমাপন, এ-কি সহজে বোঝা…

৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৮:- একটি শোকগাথা – শোভন ভট্টাচার্য

৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৮:- একটি শোকগাথা – শোভন ভট্টাচার্য

(কবি গৌতম বসু স্মরণে) অগ্নিকে ছুঁয়ে-থাকুক প্রকৃত শ্মশানবন্ধু… জল…একদিন বন্ধুর সাথে গিয়ে ‘রাজেশ্বরীদের বাড়ি’পেয়েছি প্রথম দেখা। সবে লেখা হচ্ছে ‘রসাতল’।‘অতিশয় তৃণাঙ্কুর পথে’ ছিল কি আভাষ তারই! দূরভাষে যোগাযোগ মোটেই ছিল না বলা ভালো;মাঝেমধ্যে দেখা হলে হয়ে যেত, না-হলে হত না;কিন্তু দেখা হলে সেই হাসিমুখ-উপচে-ওঠা আলোমনে পড়ছে খুব। আপনি, বিশ্বাসে-সংশয়ে আনাগোনা করতে করতে ইদানীং ডুব দিচ্ছিলেন…

পুনরুত্থানের কবিতা ও কবি গৌতম বসু – বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী

পুনরুত্থানের কবিতা ও কবি গৌতম বসু – বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী

কবিতার ইতিহাস শুধু কবিতার কথাতেই রচিত হতে পারে না—সঙ্গে থাকতে হবে কবির কথাও। কবিতা কেমন রচিত হবে তা মূলত নির্ভর করে ‘কবি’ সত্তাটি কেমন, তার ওপর। এ-যাবৎ অনেক কবির কবিতাপাঠের সৌভাগ্য হয়েছে আমার এবং সেসব কবিতাপাঠের‌ পাশাপাশি আমি ধন্য হয়েছি সংশ্লিষ্ট কবির অন্তরাত্মার সন্ধান পেয়ে। একমাত্র কবিতার পঙ্‌ক্তিসমূহের মধ্য দিয়েই আমি পৌঁছতে পারি কবির কাছাকাছি।…

গৌতম বসুর সাক্ষাৎকার – তপন রায়

গৌতম বসুর সাক্ষাৎকার – তপন রায়

‘… সব দর্শক যখন অতীত / তখনও অনেক ভূমিকা থেকে যাবে / এই জল প্রকৃত শ্মশান বন্ধু, এই জল রামপ্রসাদ সেন ‘ বা ‘… সবই আছে , কিন্তু এমনভাবে, / ভাতের হাঁড়ির নীচে আগুন নেই, নদীতে জল নেই, আগুন; উদ্বেগ এইজন্য ।’ – এই চিরন্তন পঙ্তিগুলোর রচয়িতা যিনি, তাকে একবার চাক্ষুষ দেখার জন্য ১৯৯২-র এক…

অনলাইনে ডুব শিশু-কিশোরদের – দীপক সাহা

অনলাইনে ডুব শিশু-কিশোরদের – দীপক সাহা

সোহেল। নবম শ্রেণিতে পড়ে। পড়ালেখায় ভালোই ছিল। একদিন তার মামা তাকে একটি স্মার্টফোন উপহার দিল। এরপর থেকে শুরু হল তার অনলাইন গেম খেলা। ধীরে ধীরে গেম খেলার পরিসর বাড়তে থাকল। অনলাইনে দেশি–বিদেশি নানা গেমারের (গেম খেলোয়াড়) সঙ্গে পরিচয়—ইয়ারফোনে কথা বলা শুরু হল। সারাদিন গেম নিয়ে ব্যস্ত, মা-বাবার সঙ্গে একসাথে খেতে চায় না, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ…

প্রসঙ্গ ভাস্কর প্রসাদ – কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রসঙ্গ ভাস্কর প্রসাদ – কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

স্থিতিশীলতা চিত্রের ধর্ম। কোলাহলহীন মন্থর একটি গ্রামদেশ দেখে আমাদের ভালো লাগে, আমরা বলি ঠিক যেন ছবির মতো গ্রাম। অনেকে প্রশ্ন করতেই পারেন—তবে কি জঙ্গমতা চিত্রকরের চিত্রে থাকে না! আমরা কি কখনও দেখিনি একটি জঙ্গম চিত্রকে ফ্রেমে আঁটা দেওয়ালে ঝুলে থাকতে বা বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসতে? উত্তর দেওয়ার আগে একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া ভালো…

সৌমাল্য গরাই-এর পাঁচটি কবিতা

সৌমাল্য গরাই-এর পাঁচটি কবিতা

চক্রব্যূহ ১. বিসর্গ ফুটেছে যেন পাশাপাশি রাখা দুটি চোখসীমান্ত পেরিয়ে এসেছে যে আলোদূততাকে তুমি কোন্ মৃত্যু দেবে? শিয়রে নদীর শ্বাস, বটবৃক্ষ মূলেশুনেছি শুঁয়োর গায়ে কাঁটা ফুলের নিশ্বাসেপ্রজাপতি হয়, তেমনই দেখেছিবীজপত্র ফেটে বের হয় অতল শিকড়এইসব ক্ষুদ্র তুচ্ছ প্রাণ তোমাকে প্রণামকরি করজোড়ে। জেনে রেখোআদতে মানুষ মাছ, গর্ভজলে সাঁতার পেরিয়েএসেছে ডাঙার কাছে কালচক্রপাকে ২. বিস্ময়ের পাশে বসি,…

পরি ও পতঙ্গ – প্রতিভা সরকার

পরি ও পতঙ্গ – প্রতিভা সরকার

উইপোকাকে চিনু ছোটোবেলা থেকেই উলিপোকা ডেকে এসেছে। তাদের টাউনের দস্তুর। উলিপোকা মানে উলিপোকা, বৃষ্টি নামলে যাদের পাখনা গজায়, যেমন তেলতেলে মুখে এবড়ো-খেবড়ো ব্রণ গজায় খারাপ কথা চিন্তা করলে। এই কথাটি তার মায়ের, সত্যমিথ্যা চিনু জানে না। কিন্তু তার নিজের গালে সত্যিই বর্ষাকালে ব্রণ গজাত, সবে তখন সে ঘুমের মধ্যে ঠাকুরদেবতার আদেশ পাবার মতো শ্রীদেবীকে স্বপ্নে…