গিলোটিনে লিখে রেখো আগামীর ডি.এন.এ. – সায়ন ভট্টাচার্য

গিলোটিনে লিখে রেখো আগামীর ডি.এন.এ. – সায়ন ভট্টাচার্য

গিলোটিন আর বাংলা কবিতার মাঝখানে শোয়ানো রয়েছে সময়। আস্তে আস্তে গিলোটিনের ধারালো ফলা যত নীচে নেমে আসছে একজন কবির হাত ততই এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের জামাকাপড় হাড় মাংসের দিকে। যতই হাতে লেগে যাচ্ছে সময়ের দেহ—তত বেশি করে ওই হাতটা হয়ে উঠছে একজন কবি–নাম অর্ণব সাহা। যে জানে “সারাটা রাত্রি ঘুমোতে পারি না….. এত ভয় করে!” তবুও…

হিন্দুত্ববাদী পৌরুষের অধিকারবোধ ও মেয়েদের শরীর – অর্ণব সাহা

হিন্দুত্ববাদী পৌরুষের অধিকারবোধ ও মেয়েদের শরীর – অর্ণব সাহা

‘আক্রমণকারী’/’ধর্ষক’ মুসলিমের নির্মাণ উনিশ শতকের শেষ দিক থেকেই ‘হিন্দু সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’ তার একমাত্রিক কাল্পনিক ‘শত্রু’ হিসেবে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে এবং সেই অনুয়ায়ী একটি সুসংহত ডিসকোর্স নির্মাণের কাজে হাত দেয় । স্বাধীন ভারতের মাটিতে আরএসএস-জনসঙ্ঘ-বিজেপি যে ভাষায় কথা বলে—‘মুসলমানদের বড়ো বাড় বেড়েছে । ওরা পদে পদে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে’—এই যুক্তিক্রম নির্মাণের একটা ধারাবাহিক ইতিহাস আছে…

স্বপ্নের কশেরুকা – অর্ণব সাহার গুচ্ছ কবিতা

স্বপ্নের কশেরুকা – অর্ণব সাহার গুচ্ছ কবিতা

১ব্যথার প্রদীপে জ্বলা আলোঅন্ধ ভূত-চতুর্দশী। রাতউড়ালপুলের নীচে থামে…নিঃসঙ্গ। একাকী সম্রাট ট্যাক্সির দরজা খুলে নামেঠোঁটে নীল চুম্বনের বিষ! যদি সে কখনও ফিরে আসেঅপমান ফেলে রেখে যায়তার দেখা মেলে না চৌকাঠেতালাবন্ধ প্রত্যেক দরজায়! সে আসে। রক্তের আলগা স্রোতেবারবার আগুন জ্বালাতে… ২ময়দানের পাশ দিয়ে হেঁটে যায় প্রৌঢ় ও যুবতী।যে প্রেম আগেও ছিল, আজও একই গন্তব্যহীনঠিকানা খুঁজে পাবার আগে…

এয়ারগান – অর্ণব সাহা

এয়ারগান – অর্ণব সাহা

দোতলার উত্তরের বড়ো ঘরের দরজায় আলতো চাপ দিতেই খুলে গেল। দেখলাম সোফায় বাবা বসে আছে বরাবরের মতো। আর একটু ভেঙেছে শরীরটা। মাথার সাদা চুল প্রায় হালকা হয়ে এসেছে। চোখ দুটো গর্তে বসে গেছে। ইংরেজি খবরের কাগজের পাতা উলটে চলেছে একমনে। কিছুক্ষণ ঘোলাটে চোখে আমায় দেখল বাবা। তারপর ধীর গলায় বলল— “আয়, বোস”। মৃত্যুর পর এই…