জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৪ )
|

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৪ )

মূল স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য চতুর্থ পর্ব ট্রেনটা একটা স্টেশনে থামল, কিন্তু সেখানে কোনো জনপদ নেই। তার একটু পরেই পার হয়ে গেল এই যাত্রাপথের একমাত্র কলাখেত যার ঢোকার মুখে নাম লেখা আছে: মাকোন্দো। দাদুর সঙ্গে প্রথম দিকে যখন এই পথ দিয়ে যেতাম তখনই এই শব্দটা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। তবে অনেক পরে, বড়ো হয়ে বুঝতে…

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৩ )
|

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ৩ )

তৃতীয় পর্ব তখন আমার ডুবন্ত মুরগীর স্মৃতির কথা মাকে বললাম। কিন্তু বয়স্ক মানুষরা যেমন ভাবেন, মাও ঠিক তেমন করেই ভাবলেন যে সে ছিল আমার ছেলেবেলার বিভ্রান্তি। তারপর গভীর অভিনিবেশে দেখতে থাকলেন পথের সবকিছু। আমি তাঁর নৈঃশব্দের তারতম্য থেকে বুঝে নিচ্ছিলাম কোন জিনিষটা দেখে তিনি কি ভাবছেন। পেরিয়ে গেলাম রেল লাইনের অন্য পারের বেশ্যাপল্লী। সেখানে জংধরা…

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ২ )
|

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ২ )

দ্বিতীয় পর্ব মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। সাধ্যাতীত টাকাও খরচ করেছিলেন আমার জন্য। তাঁদেরকে আমার এই পাগলামোর কারণ বোঝাতে যাওয়া মানে নেহাতই সময়ের অপচয়। বিশেষ করে বাবাকে; তিনি বোধহয় আমার অন্য সব কিছু ক্ষমা করে দিতে পারতেন, শুধু দেয়ালে আমার একটা সার্টিফিকেট ঝোলাতে না পারার অক্ষমতাকে বাদ দিয়ে, কারণ সেটা তিনি নিজে অর্জন করতে…

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ১ )
|

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) – অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ( পর্ব ১ )

জীবনের কথা বলিতে ব্যাকুল (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের আত্মজীবনী) মূল স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ: অরুন্ধতী ভট্টাচার্য আমার মা বাড়ি বিক্রির জন্য আমাকে তাঁর সঙ্গে যেতে বললেন। দূরের এক শহর, যেখানে পরিবারের সবাই থাকত, সেখান থেকে সেই সকালে বাররানকিয়ায় এসেছেন। কিন্তু আমাকে কোথায় পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে তাঁর বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। এখানে-ওখানে পরিচিত মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁরাই…

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরূহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (শেষ অংশ)

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরূহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (শেষ অংশ)

কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে গান শিখে বা তাঁর পরিচালনায় কাজ করে যেসব শিল্পী বিভিন্নভাবে উপকৃত হ’য়েছেন তাঁদের মধ্যে শচীন দেববর্মণ, আঙুরবালা, ইন্দুবালা, রাধারাণী, তারকবালা, কমল দাশগুপ্ত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এই সমস্ত গুণী মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন শিক্ষক স্বরূপ। আকাশবানীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এই মানুষটির সংস্পর্শে এসে উপকৃত হননি এমন কোনও শিল্পীকেই খুঁজে পাওয়া ভার। এই সব ছাত্রছাত্রীরা যেদিন…

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (৩য় অংশ)

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (৩য় অংশ)

১৯২২ সালে নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সনির্বন্ধ অনুরোধে কৃষ্ণচন্দ্র সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, অভিনেতা হিসেবে পেশাদার রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করেন।প্রবেশ তো নয়, যেন আবির্ভাব!নাটকে যোগদানের ব্যাপারে তাঁর বরাবর আপত্তি ছিল,কিন্তু শিশিরবাবু তাঁকে বোঝান যে নাটক হল জনশিক্ষার প্রচার মাধ্যম। তাকে সেই ভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে মানুষের চেতনায় শিক্ষার উত্তরণ ঘটে, আর এই কাজে নিঃসন্দেহে কৃষ্ণচন্দ্র অন্যতম সেরা…

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (২য় অংশ)

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (২য় অংশ)

প্রথম অংশ একইভাবে তিরিশের দশকে কীর্তন গানে তিনি ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হন ও আপামর বাংলাকে ভাসিয়ে নিয়ে যান সে প্লাবনে। বিখ্যাত কীর্তনিয়া রাধারমণ বাবুর কাছে তিনি কীর্তন গানের তালিম নেন এবং খোলে সঙ্গত করতেন নবদ্বীপ ব্রজবাসী। তাঁর এই গানের ধারা এত জনপ্রিয় হয়েছিল, যে পরের দিকে আকাশবাণীতে মাসে একদিন করে একটানা ১১ মাস ধরে তিনি…

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)
|

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)

রেকর্ডে, অভিনয় মঞ্চে, ঘরোয়া মেজাজে বা বৈঠকি আসরে বাংলা গানের নবযুগের সূচনা যাঁরা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে মহীরুহ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র দে (১৮৯৩ – ১৯৬২) মহাশয়; যিনি ‘কে.সি. দে’ নামে সারা দেশে পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মাষ্টমীর দিন কলকাতার মদন ঘোষ লেনের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা শিবচন্দ্র দে-র ছোটো ছেলে ছিলেন তিনি। যেহেতু কৃষ্ণের জন্মদিনে ছেলের জন্ম, তাই…