স্মরণে স্বপন চক্রবর্তী – শুভময় মণ্ডল

শেয়ার করুন

জ্যোতি ভট্টাচার্যের পর স্বপন চক্রবর্তীই নিশ্চয় সেই মাস্টারমশাই যিনি ক্লাসরুমকে অত দ্রুত নিজের খাসতালুকে অধিগ্রহণ করে নিতে পারতেন। এঁরা আগ্রহীও ছিলেন হয়তো সেই অনিন্দ্য অধিগ্রহণে।

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষণের প্রদেশের কথাই যদি নির্দিষ্ট করতে হয়, এই স্বাধিকারে উজ্জ্বল ছিলেন, আছেনও বটে বেশ কয়েকজন শিক্ষক। কিন্তু বিশ-একুশ শতকে জ্যোতি ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৯৮) এবং স্বপন চক্রবর্তীর ‘শ্রেণি’- প্রতাপ ও বিদ্যার্থীমণ্ডলে আধিপত্য নিয়ে যেমন লোকবচন তৈরি হয়েছে, তেমনটা বোধহয় নেহাতই বিরল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীলোকবচনে অধ্যাপক জ্যোতি ভট্টাচার্য ছিলেন স্বয়ং কিং লিয়ার আর যাদবপুরে স্বপন চক্রবর্তী ছিলেন দোর্দণ্ড ডন।

এই দুই আচার্যের মধ্যে ছিল সামীপ্যের আরও এক প্রশস্ত অঞ্চল। পড়ানোকেই এঁরা ধ্রুবপদ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।— এই বিবৃতিপ্রবণ বাক্যটি একটু বোকা বোকা শোনাচ্ছে নিশ্চয়। কেউ বলতেই পারেন, আরে বাপু, তুমি তো দু-জন স্বনামখ্যাত শিক্ষকের কথাই বলছ, তাঁদের মধ্যে এই মিল নিয়ে নতুন করে বলার কী থাকল! ঠিক।
আসলে আমরা বলতে চেয়েছি, পড়ানোকে এঁরা শুধু পেশার প্রতি সততা হিসাবে গ্রহণ করেননি, গ্রহণ করেছিলেন সত্তার প্রতি সততা হিসাবে। পড়ানো ছিল এঁদের সত্তার সোল্লাস ভাষাও বটে। শিক্ষক ব্যতীত এঁদের অন্যতর কর্মিক পরিচয়ও তো রচিত হয়েছিল। দু-জনের ক্ষেত্রেই সে পরিচয় অন্যতর ভাষে অধিকতর উজ্জ্বল বলে মান্য হওয়ারই কথা। রাজনৈতিক অগ্রণী কর্মী হিসাবে জ্যোতি ভট্টাচার্য দু-দুবার রাজ্যের মন্ত্রী, একবার শিক্ষা, পরে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী। স্বপন চক্রবর্তী অধিষ্ঠিত হয়েছেন জাতীয় গ্রন্থাগারের অধিকর্তা পদে, সামান্য পরে একই সঙ্গে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রধানের পদে। দুটি ক্ষেত্রেই শিক্ষকতাতে ফিরেই এঁরা যেন ভিটেমাটিতে ফেরার স্বস্তি পেয়েছেন। মারণমুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বপন চক্রবর্তী। সেই দ্বৈরথ তাঁর শরীরে রেখে গিয়েছিল মোকাবিলার নানা এলাকা। শেষাবধি। স্যার বলেছিলেন, ঠিক করে নিয়েছিলাম—যাই, কিছুদিন অন্য চাকরি করে আসি। যেদিন বুঝব পারছি, পড়ানোতেই ফিরব।

২.
অধ্যাপক স্বপন চক্রবর্তীর জন্য প্রয়াণলেখ-র সূচনাতেই আর এক আচার্যের কথা যে এল সমানতালে, তার একটি চেতন বা অবচেতন কারণ বোধহয় এই, জ্যোতি ভট্টাচার্যের জন্য একটি অসামান্য প্রয়াণলেখ রচেছিলেন স্বপন চক্রবর্তী, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসের আকাদেমি পত্রিকায়। সেই লেখাটি চোখে পড়েছিল, অন্তত বছর আষ্টেক পর। শেষ পৃষ্ঠা থেকে চোখ তুলতে না তুলতেই মুগ্ধবোধে ফোন করেছিলাম স্যারকে। উনি সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, সে গল্প তোকে পরে বলব।

পরেই বলেছিলেন, ওই প্রয়াণগদ্য তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলেন যাদবপুরে তাঁর অগ্রজ সহকর্মী অধ্যাপক মিহির ভট্টাচার্য।

কেন?

জ্যোতি ভট্টাচার্যের প্রয়াণলেখ লিখবার জন্য স্বপন চক্রবর্তী কেন? কোন্ আভাস প্ররোচিত করেছিল মিহির ভট্টাচার্যকে? এ-কথা অবশ্য এখন একবার জেনে নেওয়া যায়।

সাহিত্যের নৈতিক সিদ্ধান্তের সত্যমূল্যকে কীভাবে ধারণ করে থাকে তার ভাষার বহুল অর্থ-সম্ভাবনা–এই উন্মোচনে নিয়োজিত থেকেছে জ্যোতি ভট্টাচার্যের মেধা ও শ্রম, কারণ শিক্ষক হয়ে তিনি রাজনৈতিক মত ও পন্থার সপক্ষে সওয়াল থেকে নিরাপদ বিরাম চাননি—এমনটা ছিল জ্যোতি ভট্টাচার্য নিয়ে স্বপন স্যারের নিরীক্ষণ। এইখানেই তিনি শনাক্ত করতে চেয়েছিলেন ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক ও শিক্ষক জীবনের সমকেন্দ্রিকতা। আর এই সূত্র ধরেই স্বপন স্যার কি অসামান্য মেধায় ও প্রকাশের সংমিতিতে স্থাপন করেন মার্কসবাদী-লেনিনবাদী দৃষ্টিবিন্যাস ও ইতিহাস ধরে জ্যোতি ভট্টাচার্যের কিং লিয়ার পাঠ ও পাঠদানের নির্যাস।

কর্ডেলিয়া প্রসঙ্গে লিয়ারের সেই বিস্ময়াহত নির্ণয়: ‘So young, and so untender?’ এবং কর্ডেলিয়ার নিপাট আত্মনির্ণয়: ‘So young, my lord, and true’—এই দ্বান্দ্বিকতার মধ্যেই স্বপন স্যার খুঁজে নিয়েছিলেন লেনিনের জীবন ও ভূমিকা। ১৯২১ সালে ক্রনস্তাদে নাবিকদের বিদ্রোহ দমন করতে লেনিনকে হতে হয়েছিল অকরুণ—untender। আবার শ্রমিক কৃষকের দুর্দশা নিয়ে সোভিয়েত সরকারের ব্যর্থতা বিষয়ে আত্মসমালোচনায় লেনিন অকপট—true। ইতিহাসের সংকটসন্ধিতে একজন দিশারির জীবনে, একজন মার্কসবাদীর জীবনে untender ও true-র দ্বন্দ্বের বিন্যাস!

এসবের সবটুকুই তিনি বলছেন জ্যোতি ভট্টাচার্য অনুধাবনে। যেন ভট্টাচার্যেরই বাচনে। আমাদের শুধু এইটুকু বলার, মার্কসবাদ ও মার্কসবাদী পথের ঘটনাপ্রবাহের ইতিবৃত্ত নিয়ে বিস্তৃত পাঠ ও বোধ ব্যতীত এমন বয়ানে ও বয়নে বলা সম্ভব নয়।

ওইখানেই স্বপন স্যার। বলা যাবে না, কিছুতেই বলা যাবে না, প্রকাশ্যত তিনি কোনো রাজনৈতিক মত ও পন্থার পক্ষে সওয়ালকারী বা মতধারী ও পন্থী। কিন্তু বলতে হবে, প্রাণপণে বলতে হবে—জ্ঞানের বিচিত্র পরিসরের অবিরাম অর্জনই তাঁর পন্থা ও মতাদর্শ।

৩.
মুশকিল হয় এই, জ্ঞানসাধনায় এ হেন একনিষ্ঠা জ্ঞানের যে বর্গ নৈতিক রাষ্ট্রিক ও সামাজিক সিদ্ধান্তের ও সক্রিয়তার দিকে জ্ঞানীকে পেতে চায়, তার প্রতি চিরায়ত এক বীতস্পৃহা রচনা করে। বহু জ্ঞানসাধকের আজীবনেই সামাজিক ও রাষ্ট্রিক সিদ্ধান্ত ও সক্রিয়তাকামী জ্ঞানের দিকে এই দুর্ভেদ্য অনীহার প্রতিপালন দেখা গেছে।

ঠিক বিপ্রতীপেই ছিল স্বপন চক্রবর্তীর অবস্থান।
মহাবিদ্যালয় স্তরে তিনি পড়িয়েছেন বেন জনসন। The Alchemist পড়াতে বসলে Volpone, অথবা উল্টোটাও, Volpone পড়াতে বসলে পুরোপুরি The Alchemist. স্বপন চক্রবর্তী শিখিয়েছিলেন, ধূর্ত, দুর্নীতিপরায়ণ দুষ্ট জোট লোভের অন্তহীনতায় নিজে থেকেই ভেঙে পড়ে। কিন্তু কীভাবে ভেঙে পড়ে তা নগ্ন করে দিতে শিল্পীকে পোষণ করতে হয় সেই জোটের প্রতি নিরাবেগ শীতল ঘৃণা, উন্নাসিক কঠোরতা। উন্মথিত আবেগের বিপরীতে শীতল ঘৃণা আর উন্নাসিক কঠোরতায় নিজেকে প্রতি মুহূর্তে শাণিত করে তুলতে হয়।

নিজেকে নিয়ে মশকরা করতে তাঁর তুলনা ছিল না। এও বোধহয় এলিজাবেথীয় কাল নিয়ে তাঁর গাঢ় প্রজ্ঞার অথবা আত্তীকৃত জ্ঞানেরই বিচ্ছুরণ। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনয় সরকার নিয়ে আয়োজিত এক সভায় সভামুখ্যের আসনে ছিলেন তিনি, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তাঁর তদানীন্তন চেয়ার প্রোফেসর পদটির প্রতি সহসা তির্যক বাক্য হেনে নিজেকেই বিঁধতে চাইলেন তিনি: চেয়ার ভালো নয়, ওতে শরীরে মনে নানা দুর্বলতা আসে। দাঁড়িয়ে থাকা, চলাফেরাই ভালো।

নিজেকে, নিজের প্রতিষ্ঠার স্থিতিকে, অর্জিত বিদ্যার স্থিতিকে এতটুকু বিরাম না দিয়ে ক্রমশ জ্ঞানের নতুন নতুন প্রান্তরের দিকে অনিমেষ হেঁটে যাওয়া, এটাকেই নিজের জীবনার্থ গণ্য করেছিলেন স্বপন চক্রবর্তী। নরেন্দ্রপুরের শেক্সপিয়ার গ্যালারিতে জন মিল্টন নিয়ে বলছেন প্রাচীন ইয়োরোপীয় ধ্রুপদি সাহিত্যে কলকাতার শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত রমেন্দ্রকুমার সেন। মিল্টনকে ধরেই ক্রমশ বাইবেলীয় পুরাণ-দুনিয়ায় বা তাও পার হয়ে ল্যাটিন ভাষা, সাহিত্য, ব্যাকরণ, অলংকারশাস্ত্র, ধর্মতত্ত্বের দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া। প্রবীণ অধ্যাপক রমেন্দ্রকুমার সেন থামতেই নবীন স্বপন চক্রবর্তীর প্রশ্ন। বহিরঙ্গে যতটা সাবেকি অধ্যাপক সেন, ঠিক ততটাই সপ্রতিভ অধ্যাপক চক্রবর্তী। সে যেন এক আশ্চর্য বাহাস। একে একে চক্রবর্তীর সব প্রশ্নের নিরসন করলেন সেন ধ্রুপদি ইংরেজির সঙ্গে ল্যাটিন সংস্কৃতের মণ্ডনে। তারপর একটু দম নিয়ে বললেন, ‘Anything else Professor Chakrabarty?’ সে দিন দেখেছি, প্রবীণ এক জ্ঞানসাধকের প্রতি নবীন এক অভিযাত্রীর শ্রদ্ধা কত প্রগাঢ় হতে পারে এবং ল্যাটিন ও পেগান জ্ঞান সাম্রাজ্যেও কী ঔৎসুক্যে তাঁর অভিযাত্রা।

তিনি যে বই-বিজ্ঞান নিয়ে মনোযোগী হলেন এমন করে, বাঙালির ইংরেজি চর্চা নিয়ে রচনা করলেন অসামান্য সন্দর্ভ, মার্কসবাদী ভাবনা ভুবনকে বুঝে নিতে চাইলেন নীরবে, সবই সেই অদ্বিতীয় সাধনার বহুধা বিচ্ছুরণ: জ্ঞানের বহুমাত্রাকে যতদূর সম্ভব আয়ত্ত করতে হবে একটিমাত্র জীবনে। যে জীবনের দৈর্ঘ্য আমরা কেউই জানি না কতখানি কতদূর।

ইতিহাস নিয়ে একটি আলোচনায় স্যার বলেছিলেন, ইতিহাসের বহুমাত্রা অনুধাবনে যে অভাব ছিল মার্কসের চর্চায় তাকে প্রসারিত করেছেন এঙ্গেলস, বদল এনে দিয়েছেন ভাবনাভঙ্গিতে। কী নন্দিত আবেগে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম সেই মুহূর্তে। বাড়িতে ফিরেই খুলে বসেছিলাম ১৮৯০ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে, মার্কস-প্রয়াণের সাত বছর পর যোশেফ ব্লক কিংবা কনরাদ শিমিদ্ৎকে লেখা এঙ্গেলস-এর চিঠিগুলি। এই চিঠিগুলিতেই এঙ্গেলস মার্কস ও নিজেকে অংশত দায়ী করেছেন ইতিহাস নিয়ে একবগ্গা প্রবণতার জন্য, যে প্রবণতায় তরুণেরা কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দিকের প্রতিই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গুরুত্ব আরোপ করছে। এবং স্পষ্টতই বলে রাখছিলেন, সব ইতিহাসকেই নতুন করে পড়তে হবে।

সম রোমাঞ্চ শিহরণে মর্মরিত হতে হয়, যখন আবিষ্কার করা যায়, পেত্রার্ক-এর পাঠভুবন নিয়ে বলতে গিয়ে স্বপন চক্রবর্তী হঠাৎ বাড়িয়ে দিচ্ছেন, ব্রেখট-এর মার্কস-পাঠের অনুষঙ্গ। সেন্ট অগাস্টিন-এর লেখাগুলি পড়ে আত্ম-আবিষ্কার করছেন পেত্রার্ক, ঠিক যেভাবে ব্রেখট দাবি করেছেন মার্কস-এর ক্যাপিটাল পড়ার পর তিনি নিজের নাটক বুঝতে পেরেছেন। আশ্চর্য, ঠিক এই ভাবেই তো ভেবেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আত্ম-আবিষ্কারের এই পথেই মার্কস-পাঠ তাঁকে দিচ্ছে নিজের ও নিজের আখ্যানকর্মের মধ্যে আত্ম-সমালোচনার এক সেতু। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন: ‘মার্কসবাদ যেটুকু বুঝেছি তাতেই আমার কাছে ধরা পড়ে গেছে যে আমার সৃষ্টিতে কত মিথ্যা বিভ্রান্তি আর আবর্জনা আমি আমদানি করেছি…।’

স্বপন চক্রবর্তীর লেখা, পর পর কয়েকটি বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছিল, বিদ্যাবত্তার ভুবনে তিনি যেন প্লাতো, আরিস্ততল, সেনেকা, মার্কস-এরই মতো বিশ্বমান্য এক নতুন আইকন দাঁড় করাতে চাইছেন—সেন্ট অগাস্টিন। এই পর্যবেক্ষণটিকে তাচ্ছিল্য করেননি স্বপন স্যার।

পরে মনে হয়েছে, তাই তো, সেন্ট অগাস্টিনের সারা জীবনটাই তো তাঁর আত্মার অভিযাত্রা। সারা জীবনই সংঘর্ষে সংবেদে প্রকম্পমান। জ্ঞানের মুক্ত বাসনার সঙ্গে পূর্বজ্ঞাত ঈশ্বরবোধির সংঘর্ষ, অধীত বাইবেলীয় বিদ্যার সঙ্গে আহরিত পেগান জ্ঞান ও সংস্কৃতির সংঘর্ষ। আর এই সংঘর্ষে সংবেদের কাঁপন দিব্য অনুভূত হয় ডি লিবেরো অরবিট্রিও থেকে তাঁর আত্মজীবনীর প্রতি অক্ষর অবয়বে।

এই সারই সারাজীবন তাঁর ছাত্রদের শেখাতে চেয়েছেন স্বপন চক্রবর্তী: জ্ঞানের কোনো একটি বা একাধিক এলাকায় আয়ত্তবোধ যেন তোমাকে স্বস্তি না দেয়, তৃপ্তি না দেয়। তোমার আত্মার অভিযাত্রা অবিরাম হোক জ্ঞানের আদি ও অর্বাচীন অমিত ঐশ্বর্যের দিকে।

৪.
এ গল্প একদিন তিনি হাসতে হাসতেই বলেছিলেন, বাদল সরকারের দলে নাটক শিখতে ভরতি হয়েছিলেন। ছেড়েও এসেছিলেন অচিরে, এই বোধে যে পড়াশুনোর কাজে কম পড়ে যাবে।

পরে একবার দেখাও হয়েছিল তাঁর বাদল সরকারের সঙ্গে। কথা বলেননি বাদল সরকার। একটিই শব্দ বলেছিলেন: ট্রেইটর!

সংক্রমণ আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল। আপনি করলেন আমাদের সঙ্গে।

এখনই কী আপনার অভিযাত্রা থেকে বিরাম নেওয়ার কথা ছিল, স্যার!

শেয়ার করুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *