দানবেরা জেতে না কখনও – সুকুমারী ভট্টাচার্য

দানবেরা জেতে না কখনও – সুকুমারী ভট্টাচার্য

প্রায় দুমাস ধরে চলছে গুজরাতের গণহত্যা। যেখান থেকে এর সূত্রপাত সেই গোধরার‌ ব্যাপারে একটা প্রশ্ন থেকে গেছে। রাতের অন্ধকারে একটা ট্রেন ছোট একটা স্টেশনে দাঁড়াতেই কয়েকজন মুসলমান (?) নির্দিষ্ট একটি কামরায় অভ্রান্তভাবে অগ্নিসংযোগ করল; তারা বন্ধ কামরাগুলি বাইরে থেকে দেখে কেমন করে জানল কোনটাতে করসেবক আছে? খবর যা বেরোচ্ছে তাতে দেখছি অন্তত পাঁচ ছ’ মাস…

উজান পথের যাত্রী সুকুমারী ভট্টাচার্য – কণিষ্ক চৌধুরী

উজান পথের যাত্রী সুকুমারী ভট্টাচার্য – কণিষ্ক চৌধুরী

১ কালিদাস চট্টোপাধ্যায় (১৮৪৬/১৯১৯), নামান্তরে সত্যব্রত সামশ্রমীকে অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন। তিনি ছিলেন বেদবিশেষজ্ঞ পণ্ডিত। শেষ জীবনে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক হন। ইনি ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কারো হাতে অন্নগ্রহণ করতেন না। (চট্টোপাধ্যায়, অমরকুমার, ২০০৫:৩৩)। ১৮৭৩-এ বিদ্যাসাগর যখন বহুবিবাহ রদ করার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছিলেন, তখন সত্যব্রত তার বিরোধিতা করে দেখিয়েছিলেন যে ‘বহুবিবাহ’ শাস্ত্র-নিষিদ্ধ নয় (পূর্বোক্ত: ৬১)।…

সুকুমারী চিন্তার দিগন্তমিলন – সায়ন ভট্টাচার্য

সুকুমারী চিন্তার দিগন্তমিলন – সায়ন ভট্টাচার্য

সুকুমারী ভট্টাচার্য বাংলার নবজাগরণের শেষ প্রতিনিধিদের অন্যতম। দেশ ও জাতি যখন প্রাচীনতার আবর্তে একটি ক্ষমতাশালী জাতীয়তাবাদ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে তখনই সুকুমারী ভট্টাচার্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরছেন দেশীয় পুরাণ, কাব্য, মহাকাব্য কিংবা ধর্মগ্রন্থের কেন্দ্রীয় সংকট। সামাজিক পরিসরে সেই সব সাহিত্যকে কেন্দ্র করে ভক্তি কীভাবে জাতীয় জীবনকে বিপজ্জনক দিকে নিয়ে যেতে পারে, তিনি বিভিন্ন রচনা…

‘করোনা বিষে’ চলছে দুনিয়াদারি, তালাবন্দি শুধু স্কুলের ক্লাসবাড়ি – দীপক সাহা

‘করোনা বিষে’ চলছে দুনিয়াদারি, তালাবন্দি শুধু স্কুলের ক্লাসবাড়ি – দীপক সাহা

ঘটমান বাস্তব হল করোনা দুর্যোগে থমকে আছে দেশের শিক্ষাপ্রবাহ। পড়ুয়াদের স্কুলজীবন স্তব্ধ। প্রায় সারাবছর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠনে অভ্যস্ত পড়ুয়ারা এখন স্কুলের পথ ভুলে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে এমনই ইঙ্গিতে শিক্ষাঙ্গন কেন্দ্রিক শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। বিগত নির্বাচনে আকাশ বাতাস ‘খেলা হবে’ ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে কম্পমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভোটজীবিরা আশ্চর্যজনকভাবে নীরব।…

বিহঙ্গপুরাণ – কুণাল বিশ্বাস

বিহঙ্গপুরাণ – কুণাল বিশ্বাস

গ্রামের নৃত্যানুষ্ঠান শেষে গন্ধর্বগণ শিল্পীদের ভোগ করতেন। চৌষট্টিরকম পঞ্চালিকা কলায় পারদর্শিনী ওইসব মেয়ে ভালোবেসে কাউকে গ্রহণ করেছিল কি-না জানা যায় না। নটী, পরিচারিকা, দাসী, স্বৈরাচারিণী, বিনষ্টা—পরিবর্তনশীল নামে তারা কেউ সুপরিচিত, কেউ-বা মহাকাব্য জুড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। বাকিরা সবাই উড়ে গেছে মগডালে—শুশ্রূষায়, বসবাসে।ভাস্কর প্রসাদের এই ছবি তেমনই এক পাখির আলো-ছায়া-রৌদ্রের ঋণ—একফোঁটা জলের খোঁজে দীর্ঘ নীল উড্ডয়ন।…

কড়িবরগার ঘর – অতনু চট্টোপাধ্যায়

কড়িবরগার ঘর – অতনু চট্টোপাধ্যায়

১. অন্ধকারে সাদা সাদা ফুল ফুটে উঠল। উদ্ভিন্ন হাওয়ায় সুগন্ধ ঘোরাফেরা করে গলিমুখে। ধরতে গেলে পালিয়ে যায়, পাজি! তবু তার পদচিহ্ন আমরা টের পাই অন্ধকারে হাঁটতে বেরোলে। যদিও গলিমুখে হাঁটাহাঁটি এখন বাহুল্য বলা চলে, পুরাতন ছাদেই এই বিলাসিতার অবসান। গৃহবন্দি দশা হবিষ্যির চেয়েও বিস্বাদ, এর শুরু ভুলে গেছি, শেষ দেখতে পাই না। একদলা অস্বস্তি গলায়…

পাঁচটি কবিতা – প্রীতম বসাক

পাঁচটি কবিতা – প্রীতম বসাক

একটি কাব্য ও তাহার খোসা ১. হে আলোচ্য জীবন! সঠিক শব্দটি আমি খুঁজিতেছি শূন্য পূরণের নিমিত্তে। এত নগণ্য শস্যের সূচি। এত আলোর অভাব। দূরত্ব হেতু আমি পৌঁছাইতে অপারগ তোমার ঔষধি অবধি। অথচ একটি দুটি গান পাইলে মাঠের ঘুম ভাঙিত। সহজ হইত মাটি। দেখো কী আবেগ করিয়া আসিতেছে দিগ্বলয় জুড়িয়া। কত করুণ ওই সজল। হে অপঠিত…

ওরাও পাহাড়ে চড়ল – সৌরভ কুমার চলিহা অনুবাদ : অভিজিৎ লাহিড়ী
|

ওরাও পাহাড়ে চড়ল – সৌরভ কুমার চলিহা অনুবাদ : অভিজিৎ লাহিড়ী

[লেখক পরিচিতি : সৌরভ কুমার চলিহা, বিখ্যাত অসমিয়া ছোটো গল্পকার। লেখকের আসল নাম সুরেন্দ্রনাথ মেধী। ১৯৩০ সালে অসমের দরং জেলার, মঙ্গলদৈ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে তাঁর ছোটোগল্পের সংকলন ‘গুলাম’-এর জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ২০১১ সালে গুয়াহাটিতে তাঁর মৃত্যু হয়।] —দূরে ওটা কীসের আলো?—মশালের। ওটা একটা খাসিয়া গ্রাম, স্মিট বা ওরকমই কিছু…

বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি – অলাত এহসান

বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি – অলাত এহসান

মাত্র সাত দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছিলাম প্রায়। ঘরের লেজার লাইট, কম্পিউটার মনিটর, ফোনের স্ক্রিন আর ক্ষুদ্র ভেন্টিলেটর আলো ছাড়া কিছু চোখে পড়েনি। একটু দম ছাড়ার জন্য হলেও চারপাশ ঘুরে দেখা দরকার। ধানমন্ডি তত দিনে সুপারনোভার মতো আত্মসংকোচন ঘটিয়ে শহরের ক্ষুদ্র, কিন্তু ওজনদার একটা এলাকায় পরিণত হয়েছে।কাঁটাসুর থেকে কয়েকটা বাঁক পেরোলেই ধানমণ্ডি মেইন রোড। রাজধানীর এই অংশকে…