বদগন্ধ – রাজর্ষি বর্ধন

বদগন্ধ – রাজর্ষি বর্ধন

গন্ধটা গত কয়েকদিন ধরেই গুঁতো দিচ্ছে রামহরিবাবুর নাকে। নস্যি নিলে, রুমালে সুগন্ধি মাখালেও যাচ্ছে না– ঠ্যাঁটা কুকুরের মতো এক জায়গায় পড়েই রয়েছে – হুড়ো দিলে যাওয়ার ইচ্ছে নেই! ভারি মুস্কিলে পড়েছেন রামহরিবাবু! বউমা নীতা ভারী শান্ত, সুশ্রী ও আধুনিকা মেয়ে, সেও রোজ এসে বলে, “ঘরে ধুপকাঠি জ্বালিয়ে রাখি বাবা, দেখবেন সব বদগন্ধ কেটে যাবে!” তাই…

মঙ্গল-মানবী ও একটা লোক   – নীহারুল ইসলাম

মঙ্গল-মানবী ও একটা লোক – নীহারুল ইসলাম

খবরের কাগজটা সকালে একবার এক ঝলক উলটেপালটে দেখেছে। তখন খবরটা চোখে পড়েনি। এখন আচমকাই চোখে পড়ল। আশ্চর্য একটা ছবি! খবরটা আরও আশ্চর্যের। ‘লালগ্রহে মাঙ্গলিক নারীর ছায়ায় চাঞ্চল্য’। নাসার মার্স এক্সপ্লোরার ভেহিকল স্পিরিটের পাঠানো একগুচ্ছ ছবির মধ্যে ছিল নাকি ছবিখানি! পৃথিবীতে সেই ছবি নিয়ে উৎসাহের পারদ এখন তুঙ্গে। মহাকাশপ্রেমী থেকে নভশ্চর – সকলের কৌতূহল বাড়ছে। কৌতূহল…

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে – সায়র ব্যানার্জী

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে – সায়র ব্যানার্জী

বাসন্তী রঙের পাড়। ঝর্ণার মতো খোলা চুল। রবীন্দ্রভারতী বা শান্তিনিকেতনের পাতাঝরা কোনো রাস্তায় তুমি হেঁটে যাও.. তোমার দিকে উড়ে আসে আবিরের মত প্রেমপ্রস্তাব ছিটকে এসে লাগে মুখে গায়ে- আর ছবি-যুবক শাটার নামায়। চারিদিকে কত কোলাহল, এভাবে কী কাছে পাওয়া যায়! তবু যেন মনে হয় এক চিলতে লাল রঙ আমি ওই সিঁথির তলায়।

শক্তিরূপেণ – শুভঙ্কর দেব

শক্তিরূপেণ – শুভঙ্কর দেব

ডিপ্রেশনের দিনগুলো সব হাওয়ায় ওড়াও, পেরেক খুলে যীশুর দেহ নামাও নীচে, হাসতে হাসতে এ জন্মটা মনকে বোঝাও, কাল থেকে আর ঘুরতে না-যাক আমার পিছে। বাহান্নটা মানুষ পেলে আমায় ছাড়াও, তাদের কেউই তোমার কোনো যজ্ঞে লাগে? নইলে আরও পাঁচশো কুড়ির ব্যবস্থা নাও, তোমায় আমি দেখতে চাইবো সবার আগে। যাজ্ঞসেনী, তোমার মতো আমার মা’ও সবার সাথে যুদ্ধে…

তার গল্প – সরোজ দরবার

তার গল্প – সরোজ দরবার

পুরোপুরি নিরপেক্ষ ছিল সে। কোনও দলের সঙ্গেই তার কোনও যোগাযোগ ছিল না। অন্তত তার টুথব্রাশ, মাজন, চায়ের কাপ, বিস্কুটের কৌটো এমনটাই জানত। এ নিয়ে তারা তাই কোনোদিন কোনও সন্দেহ প্রকাশ করেনি।আর এমনিতে তো সে শান্তই। আপনভোলা বলতে হয়। মাথা ঠান্ডা। সাতে-পাঁচে নেই। এতটা বড়ো হয়েছে, কোনোদিন কোনও দলের দিকে সে ফিরেও তাকায়নি। কোনও দলও তার…

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)
|

কৃষ্ণচন্দ্র দে, সঙ্গীত মহীরুহ – সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (১ম অংশ)

রেকর্ডে, অভিনয় মঞ্চে, ঘরোয়া মেজাজে বা বৈঠকি আসরে বাংলা গানের নবযুগের সূচনা যাঁরা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে মহীরুহ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র দে (১৮৯৩ – ১৯৬২) মহাশয়; যিনি ‘কে.সি. দে’ নামে সারা দেশে পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মাষ্টমীর দিন কলকাতার মদন ঘোষ লেনের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা শিবচন্দ্র দে-র ছোটো ছেলে ছিলেন তিনি। যেহেতু কৃষ্ণের জন্মদিনে ছেলের জন্ম, তাই…

মাদমোয়াজেল – অর্ণব সাহা

মাদমোয়াজেল – অর্ণব সাহা

আমরাই কবীর, আমরা সুমনের বৈধ সন্তানযেকোনো ধ্বংসের মুখে আমাদের সাবলীল গান টেলিগ্রাফ তারে বসে ডেকে ওঠে অলৌকিক পাখিআমরা তার ছেঁড়া ডানা যত্নে কুড়িয়ে তুলে রাখি ফুটপাথশিশুকে পিষে ছুটে যায় হিংস্র স্করপিওআমাদের গিটারের শরীরে বসেছে প্রজাপতি চে আঁকা টি-শার্ট পরে প্রজন্মের শান্ত শ্লোগানসদর দপ্তরের ঠুনকো কাচ ভেঙে দিতে পারে দেবর্ষি নবরূপার হাত ধরে ফুটপাথ পেরোয়নতজানু স্টেটবাস…