অশোকবৃক্ষ, ভারতীয় সাহিত্য ও নিসর্গপ্রতীক – রূপায়ণ ঘোষ

অশোকবৃক্ষ, ভারতীয় সাহিত্য ও নিসর্গপ্রতীক – রূপায়ণ ঘোষ

ভারতীয় ইতিহাস তথা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ঋতুবৈচিত্র্যের উপস্থিতি চিরকালীন। পাঁচ হাজার বছরের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যে ঋতুকেন্দ্রিক অসংখ্য উৎসব, পূজার্চনা এমনকি সঙ্গীতচর্চার ধারাও অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় তথা উপমহাদেশীয় সাহিত্যে ঋতুচক্রের যে অসামান্য ধারা বিবরণ পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে বসন্ত বর্ণনার স্থান অগ্রগণ্য। তন্ন তন্ন করে এই সাহিত্যের গহীনে ডুব দিয়ে এক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর সমাপতন লক্ষ…

সোনালী ঘোষের গুচ্ছ কবিতা : এসো চরণ ধুয়ে দিই

সোনালী ঘোষের গুচ্ছ কবিতা : এসো চরণ ধুয়ে দিই

এসো চরণ ধুয়ে দিই ১.অনিবার্য। আড়মোড় ভাঙছে প্রিয় শব্দগুচ্ছ… এখন উত্তরায়ণ। হরিতকীর বন থেকে উঠে আসা হাওয়া ফুঁ দিয়ে নিভিয়েছে বোধ। উপচে পড়া ঘুম খুঁটে খাচ্ছে চোখহীন একটি ঝুঁটিওয়ালা মোরগ… দ্বিতীয়বার তথাগত, জ‍্যোৎস্নার প্রপাতের কাছে নিয়ে চলো। যেখানের দুরন্ত স্রোতে পাঠ করেছি বহু অধীত বিদ‍্যা আর তোমার পায়ের কাছে ফোটা সেই সেই পদ্মখানির আকর্ণ হাসি……

মধু রাঘবেন্দ্র-র পাঁচটি কবিতা – অনুবাদ : শুক্লা সিংহ
|

মধু রাঘবেন্দ্র-র পাঁচটি কবিতা – অনুবাদ : শুক্লা সিংহ

মূল ইংরেজি থেকে অনূদিত [মধু রাঘবেন্দ্র কবি, সমাজকর্মী, আর্ট ইভেন্ট কিউরেটর এবং ভারতবর্ষে কাব্য-চর্চার অন্যতম বৃহৎ উদ্যোগ ‘Poetry Couture’-র প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তাঁর কাব্য আন্দোলনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সহ ভারতের অন্যান্য শহরে কবিতা-পাঠের মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘Make Me Some Love to Eat’ পাঠক মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত। তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘Stick No Bills’ মুম্বই সাহিত্য…

শনিবার আসে – বনমালী মাল

শনিবার আসে – বনমালী মাল

এখন একটু বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। কিংবা শীত যেকোনো কালেই। সকাল কিছুটা গড়িয়ে গেলে ধীরে ধীরে দুয়ারে এসে বসেন। কোনো তাড়া নেই। নিশ্চিন্ত মানুষের মতন মুখ। জমাট ঘুমের ফোলা ফোলা চোখে আলো এসে পড়ে। বুকের মাঝখানে কাঁচা পাকা লোমের ভেতর আঙুল বোলাতে বোলাতে রয়ে-বসে হাই তোলেন। আড়মোড়া ভাঙেন। প্রতি সকালে উঠে অন্য মানুষের…

ভোজ কয় যাহারে (পঞ্চম পর্ব) :  পালং শাক – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (পঞ্চম পর্ব) : পালং শাক – সত্যম ভট্টাচার্য

যা বা যে চলে যায় প্রতি মুহূর্তে সেসবের বা তাদের কথাই কেন মনে হয়? সকালবেলা কাপ নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের স্কুল যেতে দেখে মনে পড়ে যায় নিজের স্কুলবেলার কথা। মনে পড়ে যায় কোনো কোনো বন্ধুর কথা, হয়তো নাম মনে পড়ে না, শুধু মুখ ভেসে ওঠে চোখে। হঠাৎ কারুর সাথে আচম্বিতে রাস্তায় দেখা হলে সুমন গেয়ে…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৫) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৫) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

পঞ্চম পর্ব বঙ্গভঙ্গ চলাকালীন কলকাতার ক্রিকেট খেলায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে বড়ো কোনও ম্যাচের খবর সেভাবে নেই। কিন্তু এরই মধ্যে ১৯০৯/১০ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ানডে সিঙ্গল ইনিংসের খেলা হয়েছিল ময়দানে। বাংলার অন্যতম প্রাচীন পাটশিল্পের কারখানা গৌরীপুর জুট মিল যা ম্যাকলিন বেরী বানিয়েছিলেন নৈহাটিতে, তাঁদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স ইউনাইটেড জুট মিলের (বিবাদী বাগে অফিস আছে) খেলা হয়।…