মুখাবয়ব: একটা সময়ের বিবরণ – গৌতম চক্রবর্তী

মুখাবয়ব: একটা সময়ের বিবরণ – গৌতম চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

একটা এ ফোর সাইজের সাদা কাগজ। কাগজের তিন ভাগের দু-ভাগ কী তারও বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছে মাঝবয়সি এক মানুষের মুখ। মুখের পেছনে এক সীমাহীন দেয়ালের আভাস আর তার পাশে একটা বন্ধ করা জানলার অর্ধেক দৃশ্যমান। মাঝবয়সি মানুষটার মুখ একটা ফুলদানির ওপর বসানো আর তার বাদবাকি শরীর একগুচ্ছ নেতিয়ে পড়া ফুলের ডাঁটির মতন ফুলদানির মধ্যেকার অন্ধকার গর্তর ভেতর নিঃসাড়ে চেপে ঢুকিয়ে দিয়েছে কেউ; দেখে এমনটাই তার মনে হয়। মাথা পেছনের দিকে খানিক হেলানো এবং চাপা যন্ত্রণায় মুখটা নিথর। মুখের পেশির ভিন্ন ভিন্ন স্তরগুলোয় বহুদিন যাবত বসত করা, আপাতত ভিন্ন ভিন্ন রঙের গাঢ় প্রলেপে চাপা পড়া অভিব্যক্তিগুলো বিভঙ্গের বাকি আর সব আঁকিবুঁকিকে পেছনে রেখে, তার চেতনা গ্রাস করবে বলে ধীর লয়ে ছবি উজিয়ে ধেয়ে আসে তার দিকে; ঘোর লাগে তার। গাল, চাপা কপাল, ওপরের ঠোঁট, কতকটা সাদাটে লাল নীচের ঠোঁটের তলার খোঁচা খোঁচা দাড়ির কিছু অংশ আর জানলার নীচের দিকের দেয়ালের অংশ গাঢ় লাল; আবার চোখ, চোখের মণি ও নাকের গড়ন স্পষ্ট করবার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গাঢ় নীল রঙের রেখা। সেই গভীর নীল রঙের ছোপ লেগে আছে দাড়ির বাকি অংশে, দেয়ালের বাকি অংশে, মাথার চুলের জায়গায় জায়গায় আর অর্ধেক দৃশ্যমান জানলার সরু সরু কালো রডগুলোর ফাঁকে ফাঁকে। আর ফুলদানির নীচের ভাগ থেকে জলপাই সবুজ রঙের পুরু রেখা মুখের দু-পাশ দিয়ে কখন লতাপাতার আভাস হয়ে কিংবা মাঝে মাঝে শুধুই রং হয়ে ধীর গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে অসংলগ্ন ভাবে মাথায় আর অবিন্যস্ত চুলের ভেতরে; অনেকক্ষণ ধরে মনযোগ সহকারে চেয়ে থাকার দরুন তার আরও চোখে পড়ে বাদামি আর কচি কলাপাতা রঙের ইতিউতি এলোমেলো অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার। দেয়ালের গায়ে বেশ পুরনো হয়ে গেছে এমন হলদেটে সেলোটেপের ছোটো ছোটো চারটে টুকরো কাগজটার চার কোণায় লাগিয়ে মেঝে থেকে মোটামুটি সাড়ে পাঁচ ফুট ওপরে আটকে রাখা হয়েছে। ছবিটার দিকে সে আল কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে; ধীরে ধীরে কয়েক লহমা আগের ছবির মধ্যে থেকে উঠে আসা সেই চোরাটান কমতে শুরু করে আর তারপর একসময় একেবারে উবে যায়। আর চারপাশে জায়গায় জায়গায় রং উঠে ফিকে হয়ে যাওয়া দেয়াল, ময়লা দেয়ালের গা আঁচড়ে আঁচড়ে কাঠের রং পেনসিল দিয়ে করা নানান আঁকিবুঁকি অথবা কোনো বাচ্চার পেনসিল দিয়ে দেয়ালের শরীরে আঁকা ভুলে ভরা ইন্ডিয়ার ম্যাপ, ঝাঁট না পড়া মেঝেতে পড়ে থাকে ভাঙা পেনসিল, হারিয়ে যাওয়া কলমের ঢাকনা, দোমড়ানো বেওয়ারিশ এটিএম কার্ড, কিছুটা দূরে ঘরের কোণ ঘেঁষে মেঝের চ্যাটচ্যাটে গায়ে লেপ্টে থাকা প্লাস্টিক ব্যাগ, ছেঁড়া ময়লা কাপড়ের টুকরো আবার সে আগের মতো তার অস্থির চোখের বাদামি মণিদুটো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিরীক্ষণ করে। একসময় ঝুঁকে কালচে নীল রঙের এটিএম কার্ডটা হাতে তুলে নিয়ে উলটেপালটে দেখে সে বার তিনেক নিজের মনে বিড়বিড় করে, ‘৪০৯৯ ৮৮৩৩ ০৭৬৫ ১৯৭৩। ভ্যালিড থ্রু ১০/২০।’ তারপর কার্ডটাকে আলতো করে মেঝেতে ছুঁড়ে দেয়। চারপাশ সে জরিপ করে চলে; দেয়াল, ছাদ, লাল-কালো মেঝে…। লাল-কালো মেঝেতে তার চোখে এবার পড়ে ছোটো জং ধরা সেফটিপিন আর একটা দুটাকার কয়েন; ঝুঁকে নখ খাওয়া আঙুল দিয়ে খুঁটে খুঁটে সে বারকয়েক চেষ্টা করবার পর দুটাকাটা মেঝে থেকে তুলতে পারে। প্যান্টের পকেটে কয়েনটা ঢুকিয়ে সে আবার দেয়ালের গায়ে লেগে থাকা কাগজটার দিকে তাকায়। তার খেয়াল হয় নীচে বাড়িওয়ালার নিজের ঘরের লাগোয়া ছোটো কারখানায় লোহা পেটানোর শব্দ বাড়ছে। সে কাগজটা দেয়াল থেকে খুলে ভাঁজ করে পকেটে ঢোকায় আর সিঁড়ির দিকে পা বাড়ায়। লোহা পিটিয়ে চলা লোকটা তাকে দেখে কাজ থামিয়ে জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়। সে বলে, ‘কয়েকদিনের মধ্যে জানাচ্ছি।’


আবার তার হাঁটা শুরু হয়। সে স্থির করে এবার এই সরু গলিতে চলবার সময় আর নীচের দিকে তাকাবে না। মাথাটাকে খানিক পেছনে হেলিয়ে, মুখাবয়বকে নিথর করে রেখে এমন সব পথে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে হাঁটার স্মৃতির ওপর ভর করে সে ক্রমানুসারে পা ফেলতে থাকে। দুপুরের সূর্যের আলো তার মাথা, উস্কোখুস্কো চুল, কপাল, ঘাড়, পিঠ বেয়ে ঘামের সঙ্গে গড়াতে গড়াতে নীচে নেমে আসে আর ধীরে ধীরে রাস্তায় মিশে যায়। আর বাঁ হাতে চটি জোড়া মুঠো করে রেখে তার মনে হয় গত কয়েক ঘণ্টা ধরে এই গলির ভেতরকার সিমেন্টে বাঁধানো, জায়গায় জায়গায় ভাঙা আর সেখানে অল্পস্বল্প গজিয়ে ওঠা ঘাসে ভরা রাস্তার শরীরে জমা হওয়া সূর্যের উত্তাপ তার পায়ের তলার চামড়া, পায়ের আঙুল ফুঁড়ে তার শরীরময় ছড়াতে ছড়াতে ছড়াতে একসময় তার অবশিষ্ট চেতনাটুকুকেও অসাড় করে দেবে। ধীর গতিতে তবু সে হেঁটে চলে আর অস্ফুট স্বরে বিড়বিড় করতে থাকে, ‘মোট সাড়ে সাত বর্গ কিলোমিটার। গত তিরিশ বছরে এখানে ছাপ্পান্নটা এমন গলি দিয়ে আমি হেঁটেছি। ছাপ্পান! অব তক ছাপ্পান! গলির বাঁদিকে সাতটা আর ডানদিকে ছটা বাড়ি। তাহলে ছাপ্পান্নটা গলিতে মোট সাতশো আটাশটা বাড়ি। আর আটাশটা গলিতে একটা করে বাড়ি ভ্যানিশ! তাহলে হাতে রইলো সাতশো বাড়ি। সা-ত-শো। আর ওই আটাশটা গলির, চোদ্দটা গলিতে বাঁদিকের তিন নম্বর বাড়ি নেই আর বাকি চোদ্দটা গলিতে ডানদিকের চার নম্বর বাড়ি নেই। আমি জানি! আমার মনে আছে!’

গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে একটা বুক উঁচু পাঁচিলের সামনে এসে দাঁড়ায় আর দিশা বদলায়। দিশা বদলেও সে মাথা নীচু করে না। সামনের দিকে তাকিয়ে তার আন্দাজে মনে হয় এখন পায়ে পায়ে আরও কুড়ি মিটার। তারপরেই কালো পিচের বাইপাসের রাস্তা। তার বিড়বিড়ানি আবার শুরু হয়।

‘এই আটাশটা বাড়ির প্রতিটা বাড়িতে চার কি পাঁচটা করে ঘর আর প্রতিটা বাড়িতে থাকত ছয় থেকে সাতজন লোক। তার মানে একশো বারো থেকে একশো চল্লিশটা মতন ঘর আর তাতে ছিল একশো আটষট্টি থেকে একশো ছিয়ানব্বই জন লোক। তারপর আটাশটা বাড়ি ভ্যানিশ হল আর ওই লোকগুলো এক-এক করে সেঁদিয়ে গেল বাকি সাতশো বাড়ির মধ্যে প্রতি মাসে শর্তসাপেক্ষ ভাবে কিছু টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। আমি জানি! আমার মনে আছে!’

বাইপাসের রাস্তায় পৌঁছে সে এতক্ষণ হাতে মুঠো করে ধরে থাকা চটি জোড়া মাটিতে ফেলে আর সেই আধছেঁড়া চটি জোড়া পরে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে পিচের রাস্তা পার হয়ে অন্য আরেকটা গলিতে ঢুকে যায়।


প্যান্টের ডান পকেটে এ ফোর সাইজের ভাঁজ করা ছবিটা লেপ্টে থাকে আর বাঁ পকেটে অস্থিরভাবে অনবরত নড়েচড়ে বেড়ায় কতগুলো পাঁচ টাকা, দুটাকা আর নানা গড়নের একটাকার কয়েন, আল-পিন, টুথ পিক আর সেফটিপিন। দুপুরের রোদের তাপে সরু গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময় তার আরও মনে হয়, তার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে অথবা জুড়ে বা ঝুলে থাকা বাঞ্ছিত কিংবা অবাঞ্ছিত বস্তুগুলো এইবার আস্তে আস্তে গলে যাবে। আর গলে গিয়ে মিশে যাবে শিরা উপশিরার ভেতরে, পাড়ি দেবে তার শরীরের আরও অভ্যন্তরে। আরও কিছুক্ষণ এ-গলি ও-গলি করবার পর একটা বাড়ির একতলার এক ঘরের সামনে এসে দাঁড়াবার পর সে উপলব্ধি করে যে এখন এ-ফোর সাইজ কাগজে আঁকা ছবির রং আর সূক্ষ্ম আঁকিবুঁকিগুলো মাথার ভেতর জাঁকিয়ে বসেছে আর তাই নিয়ে সে হেঁটে চলেছে। ঘরে ঢুকতে ঢুকতে সে ক্লান্তিতে চোখ বোজে।

কাগজের বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে এই উঠে আসা মাঝবয়সি মানুষের মুখ সে বা তারা, তার আশেপাশের মানুষজনেরা, এই সাড়ে সাত বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল আর তার আশেপাশের মানুষেরা, এই অঞ্চলের কাছেপিঠের ছোটো-বড়ো, নতুন, পুরোনো কলোনির মানুষজনেরা গত কয়েক দশকে দেখেছে বহুবার।
এমন মুখ তারা বেশ কয়েকবার দেখেছিল বছর কুড়ি আগে তাদের তল্লাটের সরকারি বাস ডিপোর বিকেলগুলোতে। মাথাভরা উশকোখুশকো ময়লা চুল আর দাড়ি, খালি-গা আর কোমর-আঁকড়ানো বোতাম-ছেঁড়া খাকি ফুলপ্যান্ট। মানুষটা দেখতে এমনটাই ছিল। তারা কোনো বাস এসে দাঁড়ালে লাইন দিয়ে উঠবার উপক্রম করলেই সেই লোকটা গম্ভীর মুখে এসে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে নিজে আগেভাগে বাসের মধ্যে উঠে যেত। তারপর সতর্কতার সঙ্গে প্রত্যেকটা বসবার সিটের পেছন আর নীচ দেখে নিয়ে একসময় নেমে আসত। লোকটা নেমে এলে পরে বাস কনডাক্টর মুখে যতটা গাম্ভীর্য আনা যায় ততটা এনে জিজ্ঞেস করত সব ঠিক আছে কিনা! প্রতিবারের মতন লোকটা ঘাড় নেড়ে আশ্বস্ত করত আর তারা সবাই বাসে উঠে পড়ত। তারপর একসময় বাস চলতে শুরু করত আর লোকটা ধীরে-ধীরে হারিয়ে যেত তাদের মাথার ভেতরের হাজারো গলিঘুঁজির কোনও এক গলির ভেতরে। সেই আঠাশটা বাড়ির সব কটা তখনও কি ছিল? সে নিজের মনে বার কয়েক ঘাড় নাড়ে। তার মনে পড়ে না।

মাথার ভেতরের জানা-অজানা অলিগলিগুলোর মতন তাদের অঞ্চলের ভেতরের আর চারপাশের চেনা-অচেনা গলিগুলোতে এমন মুখ আর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে, এমন মানুষ বেশ কিছুদিন পরে পরেই ভেসে উঠছিল। ঘরের ভেতরে চেয়ারে বসে সে দুলে চলে আর স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। পনেরো বছর আগেকার এমন সব গলিগুলোর কোনো কোনো গলির একদিকে থাকত উঁচু লম্বা দেয়াল আর অন্যদিকে থাকত আবর্জনা ফেলা যায় এমন এঁদো পুকুর অথবা কাঁচা নালা। আর দেয়ালের ওপারে থাকত কোনো বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার কাঠামোর বেওয়ারিশ খাঁচাটা। তল্লাটের ডিসকভারি কিংবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলের অ্যাডভেঞ্চারারদের মতন সুলুকসন্ধানী মানুষেরা মাঝেমধ্যেই সেই কারখানা থেকে এটা-সেটা নিজের মনে করে নিয়ে পাঁচিল ডিঙিয়ে গলিতে নেমে এসে হাঁটা লাগাত। আর উশকোখুশকো ময়লা চুল আর দাড়ি, খালি-গা আর কোমর-আঁকড়ানো বোতাম-ছেঁড়া খাকি ফুলপ্যান্ট পরা মানুষটা এলাকার কুঁচোকাঁচাদের এইরকম গলিতে দাঁড়িয়ে চোস্ত ইংরেজি বলিয়ে-কইয়েদের ঢঙে পুরো ব্যাপারটার ধারাবিবরণী দিয়ে যেত আর এইসবের উপকারিতা সম্পর্কে মত প্রকাশ করত। অবশ্য তখন তার মতন একটু বড়োসড়ো চেহারার লোকজন দেখলে উত্তেজিত ভাবে তাদের দিকে এগিয়ে আসাটা মানুষটা বাঞ্ছনীয় মনে করত। লোকটার হাবেভাবে আশেপাশের লোকজন কখনও ভয়, কখনও বিরক্তি অথবা মাঝেসাঝে কৌতূহলী হয়ে জানতে পেরেছিল ওই লোকটা পাঁচিলের ওপারের কারখানাটায় কিংবা ওইরকম এই অঞ্চলের অন্য কোথাও কোনও একসময় কাজ করত। মালিক তো বহুদিন নিখোঁজ। লোকটা তাদেরকে জিজ্ঞেস করত এ বিষয়ে তারা কী ভাবছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা মতপ্রকাশ করত না। লোকটাকে এড়িয়ে নিজেদের বাড়িতে ঢুকে যেত আর নিজেদের মধ্যে আলোচনার সময় এইরকম শ্রেণির মানুষের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুয়ে পড়ত। আঠাশটা বাড়ির সব কটা তখন যে ছিল না সে জানে, তবে তখন সব মিলিয়ে কটা বাড়ি ছিল? সে নিজের মনে বার কয়েক ঘাড় নাড়ে। তার খেয়াল নেই।

বিছানার ওপর উপুড় হয়ে, মাথার পেছনে দু-হাত দিয়ে চেপে ধরে সে শুয়ে থাকে। কী মনে হয়, সে আবার উঠে বসে আর ফ্যামিলি অ্যালবাম ঘাঁটতে শুরু করে। কয়েক লহমা পরেই উঠে আসে ছবিতে দেখা মুখের বছর দশেক আগে তোলা একটা ফটোগ্রাফ যার গড়ন অবিকল তার বাবার শেষ বয়সের মুখের মতন। বাবা নিজেকে ক্রমশ গুটিয়ে নিয়েছিল। বাবা নিঃশব্দে তাকে চোখ দিয়ে বলেছিল যে আদতে বাবা নেহাতই একজন অসহায় ছাপোষা মানুষ।

আয়নার দিকে সে অপলকে তাকিয়ে থাকে। আগেও সে নিজেকে এভাবে দেখেছে আর এখন আবার দেখে তার চেহারা আর মুখ। আর উপলব্ধি করে তার মুখের সঙ্গে বাসডিপোয় দেখা মানুষ, গলির ভেতরে ঘুরে-বেড়ানো সেই মানুষ, অ্যালবামে দেখা মানুষের সাদৃশ্য। সাদৃশ্য আছে কাগজে ফুটিয়ে তোলা মানুষের সঙ্গেও যা আদতে সেই অজানা শিল্পীরও প্রতিকৃতি। রাতের অন্ধকারে সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে আর আবার শুরু হয় তার বিড়বিড়ানি।

‘আটাশটা বাড়ি হবে উনতিরিশ, তারপর তিরিশ… তারপর…। আমি জানি! আমি জানি!’

অন্ধকারে চারপাশে সে তার নিজের কথার কোরাস শুনতে পায়।

শেয়ার করুন

ক্যাটেগরি বা ট্যাগে ক্লিক করে অন্যান্য লেখা পড়ুন

One Comment

Leave a Reply to Rajesh Dhar Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরনো লেখা

ফলো করুন

Recent Posts

Recent Comments

আপনপাঠ গল্পসংখ্যা ২০২২