মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চরিত্র – আহমদ ছফা
|

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চরিত্র – আহমদ ছফা

বাংলা সাহিত্যে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটির কোনো জুড়ি নেই। এই উপন্যাসের একটি চরিত্রে মানিকবাবু যে সুগভীর ইতিহাসবোধ, জীবন অভীপ্সা এবং মনীষার পরিচয় দিয়েছেন, বোধকরি চরিত্রসৃজনকুশলতায় তারো কোনো জুড়ি নেই। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটির কথা উঠলেই কুবের, মালা, কপিলা, রাসু, গনেশ ইত্যাকার মানুষদের মুখগুলো আপনা-আপনিই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মানিকবাবু তেমন শিল্পী (বিশেষ করে ‘পদ্মা নদীর…

অখিল ভুবনে সুরের মেলা – প্রবীর মিত্র

অখিল ভুবনে সুরের মেলা – প্রবীর মিত্র

ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়েদশদিকে নাম ছড়িয়ে গেল তোমার গান গেয়েগান ফুরোল পাড়া জুড়োল ফুর্তি হোল দেশেচোখের জলে বাঁশুরিয়ার রক্ত এসে মেশেএসব কথা উঠলে পড়ে, উথলে ওঠে রোষ গান কি কারও কেনা! নাকি গোলাম?সে সব কথা থাক। বাংলাগানে শীতলপাটি পাতাতাতে রাজার মতো ঘুমিয়ে আছেন অখিলবন্ধু ঘোষ। —কবি পার্থজিত চন্দ একটা সময় রেকর্ড প্লেয়ার-এ…

রাখী দে’র গুচ্ছ কবিতা : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রাখী দে’র গুচ্ছ কবিতা : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

১.প্রতিক্রিয়াহীন কথাগুলিকেসাজিয়ে রাখি পার্শ্বরেখা বরাবর,ঘোলা জল এসে ঝাপটা দেয়,দুলকি চালে পাশ কাটিয়ে যাই,জন্ম শেষে না-নেভা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। ২.বুকে খই উথলে উঠলেআঁচটুকু কমিয়ে দিই,ফেনার শরীর ঘেঁটে জড়ো করিপাখিটি নীরব জলে সাঁতার কাটে! ৩.ক্ষতটি জেগে আছে,পাড়ময় ফুটে আছে সন্ধির ফুল,একেকটি ফুল তুলে নৈবেদ্য সাজাইচিকণ রোমের মুখ তুলে ধরি,তুমি কথা বলে ওঠো। ৪.যেদিকে বিকেল হাঁটে,সেদিকে পড়ে আছে…

ভোজ কয় যাহারে (ষষ্ঠ পর্ব) :  ফুলকলি রে ফুলকলি – সত্যম ভট্টাচার্য

ভোজ কয় যাহারে (ষষ্ঠ পর্ব) : ফুলকলি রে ফুলকলি – সত্যম ভট্টাচার্য

ফুলকলি রে ফুলকলি সেই যে ওয়ার্ডসওয়ার্থের সলিটারি রিপার শস্য কাটছিল আর গুনগুন করে গান করছিল কোনো একটা অজানা ভাষায় এক পাহাড়ি উপত্যকার ঢালে, দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠলেই কেন জানি মনে হয় সেই ঢালে তখন বয়ে যাচ্ছিল এক মনোরম বাতাস, যার সাথে মাথা দোলাচ্ছিল সেই শস্যক্ষেতের শস্যরাও। তাছাড়া আমাদের এদিকেও হেমন্তের শেষে যখন শীত ধীরে…

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৬) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
|

বর্ষশেষের কলকাতা : কলকাতার ক্রিকেট (পর্ব ৬) – সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়

ষষ্ঠ পর্ব  প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অন্যত্র ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায় বন্ধ হয়ে যায়। বহু ক্রিকেটার যুক্ত হয় বিশ্বযুদ্ধে। অনেকেই মারা যান, আহত হন। যদিও সৈন্যদলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অব্যাহত ছিল ভালোরকমই।  কলকাতায় ক্রিকেট খেলা কমেনি, উলটে সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯১৪ সালের নভেম্বরে দেখছি বালিগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব ও ক্যালকাটা স্কটিশ ভলান্টিয়ার্স দলের মধ্যে খেলা হচ্ছে। বালিগঞ্জের ১৮১…